পলাশবাড়ীতে বাহিড়ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপুর্ন হওয়ায় গাছ তলায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ২ নং হোসেন পুর ইউনিয়নের বাহিরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি  এলজিইডির বাস্তবায়নে ২০০০ সালে ভবনটি র্নিমিত হয়।
ভবনটি নির্মাণের  কিছুদিন পর থেকে প্লাস্টার উঠে গিয়ে বিমে ফাটল দেখা দেয় এবং ভবনটি ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়ে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে পলাশবাড়ী উপজেলার সেই সময়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী ২০১৩ সালে ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন ।
বর্তমানে ভবনটি  এমন অবস্থায় দাড়িয়ে আছে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার  সম্ভাবনা রয়েছে।  স্কুল ভবনটি ঝুঁকিপুর্ন হওয়ায় ও শিক্ষার্থীদের প্রানহানীর আশঙ্কা প্রকাশ  করে এ ভবনে পাঠদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন সে সময়ের উপজেলা প্রকৌশলি।
এ ব্যাপারে বাহির ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মিলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উক্ত ক্লাস্টারের শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরেও তারা কোনই ব্যবস্থা গ্রহন না করায় শিক্ষার্থীদের গাছের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে।
গতকাল (৩ নভেম্বর) রোববার দুপুরে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়। স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলের মাঠে গাছের নিচে কার্পেট জাতীয় চট বিছিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে। বাহিরে পাঠদানের বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিটিসি নিউজকে জানান, আমার স্কুলের বিল্ডিংটির প্লাস্টার খসে পড়ছে, বিমে ফাঁটল ধরে ভেঙ্গে ভেঙ্গে রড বের হয়েছে, চারিদিকে দেবে গেছে।
বর্তমানে বিল্ডিংটির এমন অবস্থা হয়েছে এখানে বই খাতা সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ৮০ জন শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়ে পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে। আমি প্রতিটি দপ্তরে ধর্না দিয়েও নতুন বিল্ডিংয়ের আশ্বাস পাচ্ছি না। এতগুলো শিশু শিক্ষার্থীর জীবন আমাদের ৪ জন শিক্ষকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অথচ! কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সগুনা ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন থাকার পরও তারা আরো একটি বিল্ডিং পাচ্ছে। আর আমার বিদ্যালয় ভবন এতবড় ঝুঁকির মধ্যে থেকেও আমরা পাই না। স্কুলের সভাপতি বিটিসি নিউজকে জানান, বিদ্যালয় ভবনটি ঝুঁকিপুর্ন হওয়ায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করে দিতে ভয় পাচ্ছে।
শিশু শিক্ষার্থীরা বিটিসি নিউজকে জানান, আমরা বিদ্যালয় ভবনের ক্লাস রুমের ভিতর ঢুকতেই ভয়পাই। কখন যে বিল্ডিং ভেঙ্গে গায়ের উপর পরে যায়। এ কারনে স্যারেরা গাছের নিচে আমাদেরকে পাঠদান করান।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা বেগম বিটিসি নিউজকে জানান, আমি সবে মাত্র জয়েন্ট করেছি। স্কুলটির বিষয়ে জানিনা, তবে জেনে চাহিদা পাঠাবো।
উপজেলা প্রকৌশলি মোঃ তাহাজ্জত হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, বিল্ডিংটির বিষয়ে আমিও কিছু জানিনা। আপনারা নিউজ করেন এবিষয়ে সবাই অবগত হোক।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.