পথ হারাচ্ছে কী ছাত্র রাজনীতি!

রাবি প্রতিনিধি:  রাজনীতির মাঠে কথা বলতে আসলে প্রথমে উঠে আসে ছাত্র রাজনীতির কথা। কারন রাজনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো ছাত্র রাজনীতি। ৫২, ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭০, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে যেকোন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এদেশের ছাত্রসমাজ এবং আমাদের অস্বীকার করার উপায় নেই স্বাধিকার থেকে শুরু করে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে আমাদের ছাত্রসমাজের হাত ধরেই। সেখানে গত কয়েক বছর ধরে ছাত্র রাজনীতির নানা কারনে নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হচ্ছে বড় বড় ছাত্র সংগঠন গুলো। রাজনীতির দোড়ঝাঁপে ছাত্র রাজনীতির সংগঠনগুলো কেন বিভিন্ন সময় বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে অবতীর্ন হচ্ছে। তাহলে কী ছাত্র রাজনীতি পূর্বের পথে নেই? পথ হারাচ্ছে কী ছাত্র রাজনীতি? এ শিরোনামে সাথে কথা বলেছেন-

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি, বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিটিসি নিউজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মুজাহিদ হোসেন।

বেনজির হোসেন নিশি,
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

না! ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে রাজনীতির অঙ্কুরিত বীজ। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রয়োজনে সবসময় বাঁকে বাঁকে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র রাজনীতির কর্মীরা। সব সময় প্রথম সারিতে থেকে বুক চিতিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন বাঙালি জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবার অগ্রভাবে ছিল আমাদের পূর্বসূরীরা।

বঙ্গবন্ধুর অঙ্কুরিত সেই বৃক্ষটি পল্লবিত হয়েছে বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে নেতৃত্ব দিয়েছে। আজও মা, মাটি আর মানুষের প্রয়োজনে ছাত্ররাজনীতির কর্মীরা সবার আগে এগিয়ে আসে। ৭৫ পরবর্তী গণতন্ত্র নির্বাসনের পথ থেকে দেশকে উত্তোলন করে আনতে হয়েছে ছাত্র রাজনীতির কর্মীদের। নব্বইয়ের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন, ৯৬ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ২০০৭ সালে তথাকথিত তত্ত্ববাবধায়ক সরকারের সময় সেনা রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে শৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে মুক্ত করার আন্দোলন, সর্বশেষ ২০১৩ সালের সারাদেশের আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজপথে শক্ত অবস্থানে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখার আন্দোলন, ২০১৪ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন আজও ছাত্র সমাজের কাছে নজির হয়ে আছে।

ইতিহাসের পাতায় তো ছাত্রলীগের জন্য একটি আলাদা অধ্যায়ই থাকতে হবে। কারণ একক ছাত্র সংগঠন হিসেবে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন দিয়েছেন। আজকের বাংলাদেশ সকল নেতাকে রাজনীতির আইকনিক লিডার হিসেবে চিহ্নিত করা হয় তাদের পরিচয় কি? ছাত্র রাজনীতি থেকেই তারা উঠে এসে আজ জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা পালন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে হাতেখড়ি নিয়েছেন।

দেশের ছাত্র রাজনীতিকে ধ্বংস করার জন্য একটি বিশেষ মহল সবসময়ই কাজ করেছে। ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায় আপনি সঠিকভাবে পাঠ করলেই দেখতে পাবেন ছাত্র রাজনীতি নিয়ে ভয় কোন গোষ্ঠীর মধ্যে। ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত দূষিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ঐতিহাসিক কাল থেকেই চেষ্টা চলেছে আজকেও চলছে আগামী দিনেও চলবে। তাই বলে ছাত্ররাজনীতির দিন ফুরিয়ে গেছে এমনটি বলা যাবেনা। ছাত্র রাজনীতির নামে কিছু মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যা কে সামনে টেনে এনে ছাত্র রাজনীতিকে দূষিত করার কুলষিত করার এবং প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন চেষ্টা পরিহার করতে হবে। সরল ভাবে বললে, আপনি যদি বীজ বপন না করেন তাহলে বৃক্ষের আশা করতে পারেন না। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যদি সঠিকভাবে ছাত্ররাজনীতির চর্চা করতে না দেন তাহলে আপনি জাতীয় রাজনীতিতে গুণগত মানের নেতা প্রত্যাশা করাটা অনুচিত হবে।

মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন
যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ

আমরা দেখেছি স্বাধীনতার পর থেকে যে দল যখন ক্ষমতায় এসেছে সেই দল তখন তার সহযোগী সংগঠনগুলোকে দলকে ক্ষমতার আনার জন্য ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে সাহায্যে করেছে এবং এ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বলি হতে হয়েছে সাধারন শিক্ষার্থীদেরকে। যেটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে ছাত্রলীগ যে নৃশংসভাবে হামলা করেছে তারই প্রমান।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র তরিকুলকে হাতুড়ি পেটা করা হয়। তরিকুল এখন পর্যন্ত ঠীকমত দাড়াতে পারে না। আবার আমরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে দেখেছি একই অবস্থা হেলমেট বাহিনী কিভাবে কমলমতি শিক্ষার্র্থীদের উপর লাফিয়ে পড়েছিল। আমার অভিজ্ঞতা আছে যে আমাকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে জেলে নেয়া হয়েছিল। আবার নিরাপাদ সড়কে অংশগ্রহণ করা কোমলমতি কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জেলে নেয়া হয়েছিল। এবং আমি এমন একজন শিক্ষার্থীকে দেখেছি যে হাত একদম ভেঙ্গে গিয়েছে। ভাঙ্গা হাত নিয়ে তাকে জেলে ঢুকানো হয়েছে। এই হচ্ছে নির্মমতা। বর্তমান আমরা যে ছাত্র রাজনীতি দেখছি এটি একটি পরিচ্ছন্ন রাজনীতি না। এটা লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি। সে কারনে আমরা সবসময় বলে আসছি যে ছাত্র সংগঠন গুলোকে মূল দল থেকে বিকেন্দ্রিকরণ করতে হবে।

দলীয় লেজুড়ভিত্তি ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। স্বাধীন ভাবে তারা কাজ করতে পারবে যেমন আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করছি। কোন মাদার অর্গানাইজেশনের সাথে যুক্ত না। আমরা দেখি কিছু প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন আছে তারারও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। তাদের মাদার অর্গানাইজেশন থেকে দূরে থেকে। আমরা যেটা দেখেছি ৫২, ৭১ এর ছাত্র সংগঠনগুলোর যে অবদান সে অবদান গুলো এখন আর দেখা যায় না। তারা সেই জায়গা গুলো থেকে সরে এসেছে। এবং তারা দলীয় স্বার্থ এবং নিজেদের স্বার্থ কাজ করে যাচ্ছে ।

আমরা কিছুদিন আগে দেখেছি ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে দুর্নীতির অভিযোগে তাদের পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও তাদের নামে কোন মামলা দেয়া হয়নি। এর মাধ্যমে ছাত্র রাজরাজনীতি কোন দিকে হাটছে আপনিই বলুন।

মেহেদী হাসান মিশু
সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ

প্রথমত শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে ছাত্র রাজনীতি। তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ছাত্রদের কণ্ঠস্বর আমরা তাদের মাধ্যমে শুনতে পাবো, এটাই সত্যিকারের ছাত্র রাজনীতি ছাত্র সংগঠনগুলো তো আর বাইরের কিছু নয়, তাদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের সমস্যা এবং দেশের নানা প্রশ্ন জড়িত সেই সমস্ত নিয়ে রাজনীতিই হলো ছাত্র রাজনীতি আসলে ক্ষুদ্র স্বার্থে নয়, সবার স্বার্থে যে রাজনীতি কাজ করে, সেটা ছাত্র রাজনীতি, কিন্তু দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে জামাত-শিবিরের রাজনীতি নাই বললেই চলে কিন্তু বিভিন্ন আন্দোলনে তারা ঢুকে আন্দোলন গুলোকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে যেমন বলতে পারি কোটা আন্দোলন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন দুইটি আন্দোলনের যৌক্তিকতা ছিল কিন্তু আমরা কি দেখেছি আন্দোলন গুলোকে কিভাবে নস্যাৎ করা হয়েছে ক্ষমতার স্বার্থে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে বিভিন্ন নাম সর্বস্ব ব্যানারে ভূমিকা পালন করছে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে রাজনীতি করার সুষ্ঠু পরিবেশ আছে বলে মনে করি, জামাত-শিবিরের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ সচেষ্ট আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

ছাত্রলীগের রাজনীতি নিয়ে অনেকে কথা বলে কিন্তু আমি বলতে চাই ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের বাইরের কেউ নেই। বৃহত্তর একটি সংগঠন ছাত্রলীগ এখানে সব কর্মীরা এক নাও হতে পারে। অনেকে সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করে থাকে। সেইজন্য পুরো সংগঠনকে দায়ী করার আমি কোন যৈাক্তিকতা দেখি নাই। কিছু মানুষের অপকর্মের ফল ছাত্রলীগকে দেয়া ঠীক হবে না।

ছাত্র রাজনীতি এখন তার নিজ পথে আছে। এখন যারা ছাত্র রাজনীতির নামে জনবল সংগঠনে পড়ে ছাত্র রাজনীতি কে দোষারপ করছে। তারা তাদের জনপ্রিয়তা হারিয়ে এখন ফাকা মাঠে বুলি ছুড়ছে। আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার রাজনীতি ঠীক রেখে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষৎ এ করবে বলে আমি মনে করি।

সোহেল রানা
সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল
বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। বিশেষ করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২-র কুখ্যাত হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ৬৬-র ঐতিহাসিক ৬ দফা ও ১১ দফা, ৬৯-র গণঅভ্যুত্থান, ৭০-র নির্বাচন, ৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন, ৯১’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি ঐতিহাসিক বিজয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি ও আন্দোলন সফল করার ভ্যানগার্ড হিসেবে ছাত্ররাজনীতির ভূমিকা অপরিসীম যার সুফল দেশের ১৬ কোটি মানুষ আজ ভোগ করছেন।

কিন্তু আজ ছাত্ররাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে “পথ হারাচ্ছে কী ছাত্র রাজনীতি”…?

বাংলাদেশে ১৯২৮ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ছাত্ররাজনীতি ছিল গৌরবের, সম্মানের, প্রেরণার অথচ সেই দেশে স্বাধীনতার পর দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৫১ জন শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৪ জন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৯, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ২, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২ জন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ এবং হজরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ জন শিক্ষার্থী খুন হন।

বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতির গায়ে কালিমা লেপন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্রদের সুশীল সমাজ আদর্শহীন, চরিত্রহীন, অর্থলোভী, মাস্তান, চাঁদাবাজ, অস্ত্রবাজ, মূর্খ সর্বোপরি সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর মানুষ বলে মনে করেন।

এই সকল অপকর্ম তারা কোথায় করেন? অবশ্যই কোন না কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কে বা কারা তাদের ক্ষমতার উৎস? সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক, না হয় সরকারের কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি।

২০০৯ সাল থেকে আজ অব্দি দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য। বিরোধী মতকে বিশেষ করে ছাত্রদলকে তারা হলে, ক্যাম্পাসে সহাবস্থান তো দূরের কথা নেতা কর্মীদের নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছেন না। শিক্ষকগণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভিন্নমতের ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিজেদের ছাত্র বা শিক্ষার্থী হিসেবে সহসাই গ্রহণ বা স্বীকার করতে চান না, ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের ভয়ে এবং নিজের গদি পাকাপোক্ত রাখতে।

প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নিজের ক্ষমতা হারানোর ভয়কে জয় করে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করে দিলে ছাত্রসংগঠন গুলো নিজেদের স্বার্থেই নিজেদের শুদ্ধি করে ছাত্রছাত্রী তথা দেশ, জাতি ও পৃথিবীর জন্য মঙ্গলজনক কাজে আত্বনিয়োগ করবেন, এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তাই সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ,শিক্ষক সমাজ, ছাত্রলীগ সহ সকল ছাত্রসংগঠন বলবো, আসুন জনগণ, দেশ ও জাতি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার আদায়ে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা করি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.