পঞ্চগড়ে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব ফাঁকির অভিযোগ 

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হরি নারায়ণ রায়ের বিরুদ্ধে দায়িত্ব ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। তিনি দিনের পর দিন মাঠে কাজ না করে, শহরের পৌর এলাকার রৌশনাবাগে ডিজি মার্কেটিং টেক, ফ্রিন্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টার দিয়ে সময় দেন। সেখানে ৫০ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রশিক্ষণ করায় চাকুরি দেয়ার কথা বলে প্রতি জনের কাছে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকাও। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।
কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের তবিবর রহমান,হাসিবুল ইসলাম,নুরুল ইসলামসহ একাধিক কৃষক জানান, সময়মত মাঠে পাওয়া যায় না কৃষি কর্মকর্তা হরি নারায়ণকে।আমন ধানে সার সংকটের সময় তার কাছে স্লিপ নিতে না পেরে অতিরিক্ত দাম দিয়েই কিনতে হয়েছে সার। কৃষকদের বিভিন্ন রকমের বীজ ও সার প্রনোদনা দিচ্ছে সরকার।কৃষি কর্মকর্তা বেশির ভাগে যারা কৃষি করছে তাদেরকে না দিয়ে, দিচ্ছে যারা কৃষির সাথে সম্পৃক্ত নেই তাদের।পরে তারা বিক্রি করে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে অর্থ।
সম্প্রতি সরেজমিনে, ডিজি মার্কেটিং টেক ট্রেনিং সেন্টারে দুইদিন গিয়ে সেখানে দেখা পাওয়া যায় কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হরি নারায়ণ রায়ের। ট্রেনিং সেন্টারটির পরিচালক তিনি, তার আত্মীয় জ্যোতিময় রায় সিইও।ট্রেনিং শেষে চাকুরি দেয়ার কথা বলে ৫০ জনের কাছে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকারমতো।
এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মানুষ রয়েছেন আতঙ্কে, কখন যে উধাও হয় এমন লোভনীয় ট্রেনিং সেন্টারটি।জানা যায় এর আগেও আলফা নামের একটি সংস্থা, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এন্ড কলেজ জনসাধারণের অর্থ নিয়ে রাতারাতি উধাও হয়ে যায়। তবে অভিযুক্ত হরি নারায়ণ রায়ের দাবী তিনি ট্রেনিং সেন্টারটি সেখানে দেখতে গিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো.কামাল হোসেন সরকার বিটিসি নিউজকে জানান, ইউনিয়ন উপ সহকারীর দায়িত্ব সকালে মাঠে যাবে বিকালে ফিরবেন। সপ্তাহে একদিন অফিসে রিপোর্ট করবেন। আমার একার পক্ষে তাদের পিছন পিছন ঘুরা সম্ভব না। কয়দিন কার পিছনে যাবো। এদিকে অফিসের আরো কাজ আছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.