পঞ্চগড়ে অবৈধপথে আনছে ভারতীয় আলু, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্ত এলাকায় অবৈধভাবে আসছে ভারতের আলু। এতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হবার আশংকায় স্থানীয় আলু চাষিরা। স্থানীয় চোরাকারবারীদের মাধ্যমে এসব আলু কিনছেন বহিরাগত ব্যবসায়ীরা।

বিজিবির ক্যাম্পের সামনে দিয়েই এসব আলু পারাপার হলেও কোন নজরদারি নেই তাদের। কারবারিদের সঙ্গে যোগসাজসেরও অভিযোগ রয়েছে বিজিবির বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঝুলিপাড়া, মমিনপাড়া, তিনঘড়িয়া পাড়া এবং বাঙ্গালপাড়া- এই চারটি গ্রাম ভারতের সীমান্ত ঘেষা। এই চার গ্রামের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে ভারতের কয়েকটি গ্রামের। ওই গ্রামগুলোর অবস্থান ভারতে হলেও তারকাটার বেড়া তাদের প্রতিবেশি গ্রামগুলো থেকে আলাদা করতে পারেনি।
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উভয় পাশের স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি জায়গাটি বাণিজ্যিক রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তারকাটার এ পারের ভারতীয় গ্রামগুলোতে চাষ হওয়া আলু প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশে।
স্থানীয়রা জানান, ভারতে আলুর দাম কম হওয়ায় এমনটা করছেন তারা। মাত্র ৩ টাকা কেজিতে কেনা এসব আলু ১১ থেকে ১৩ টাকা দরে পাইকারী কিনছেন বহিরাগত ব্যবসায়ীরা। আলুর বিষয়ে কথা বলতে গেলে কেউ কেউ ভারতীয় বলে স্বীকার করলেও অনেকেই এড়িয়ে যান। দাবি করেন সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশীদের চাষের আলু।
বিষয়টি বিজিবির নজরে আনলে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে ৬৬ বস্তা আলু জব্দ করেন। বিপুল পরিমাণ আলু আসলেও জব্দের পরিমাণ এত কম কেন? এর সদোত্তর মিলেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বিটিসি নিউজকে বলেন, বিজিবিকে ম্যানেজ করেই সীমান্তে অবৈধ ব্যবসা চলছে। বিষয়টি জানাজানি হলে দায়সারা দায়িত্ব দেখাতে কিছু আলু জব্দ করেন তারা। এই ৬৬ বস্তা আলু জব্দ করে বিপুল সংখ্যক আলুর বৈধতাও দিয়েছে বিজিবি।
বিজিবি ঘাগড়া ক্যাম্পের সিপাহী কাজল মজুমদার বিটিসি নিউজকে বলেন, আমরা অভিযান চালিয়েছি। যাচাই বাছাই করে যেগুলো মালিকবিহীন এবং কোন কাগজপত্র নেই এমন ৬৬ বস্তা আলু জব্দ করেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসাইন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.