নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে গত ২৪ঘন্টায় জেলায় নতুন করে আরও ১২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া যায়। এতে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এতে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এগারো হাজার ৩০২ জন। মোট আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় কোন মৃত্যু হয়নি। জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪১ জনে। মৃত্যুর হার ১দশমিক ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে সদর উপজেলায় মারা যায় ২৭জন, সুবর্ণচরে ৩জন, বেগমগঞ্জ-৪৮জন,সোনাইমুড়ীতে ৮জন,চাটখিল ১৩জন, সেনবাগ-২০জন, কোম্পানীগঞ্জ-৪জন, কবিরহাট ১৮জন।
আজ বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো.মাসুম ইফতেখার বিষয়টি বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করে। এর আগে বুধবার রাত ১২টায় জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এই সব তথ্য তাদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টেও প্রকাশ করে।
ডা.মাসুম ইফতেখার জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৭ জন, সুবর্ণচরে ৩ জন,বেগমগঞ্জ ২০ জন, সোনাইমুড়ী ১৬ জন,হাতিয়া ১জন,চাটখিল ৫ জন, সেনবাগ ১৬ জন, কোম্পানীগঞ্জ ২২ জন, কবিরহাট ১৭ জন রয়েছেন। তিনি আরও জানান, এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৯০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এদিকে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৬৭১ জন। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে (শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম) ভর্তি রয়েছেন ৩৭ জন ও আইসোলেশনে রয়েছেন ১৭ জন।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীতে করোনার প্রকোপ না কমায় নোয়াখালী পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সাথে সাথে চৌমুহনী পৌরসভা এবং বেগমগঞ্জের মীর ওয়ারিশপুর ও একলাশপুর ইউনিয়নে লডডাউন ঘোষণা করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে ৫-১১ জুন লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১১-১৮ জুন,তৃতীয় দফায় ১৮-২৪ জুন, চতুর্থ দফায় ২৫-২জুলাই নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.