নির্বাচিত হলে প্রতিটি পরিবারে গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হবে:মিনু

      বিএনপি’র সাংগঠনিক ২০ ওয়ার্ডে নির্বাচনী জনসভা

বিএনপি প্রতিবেদকসংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল বুধবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি’র সাংগঠনিক ২০নং ওয়ার্ড ছোট বনগ্রাম হাউজিং প্লট মাঠে নির্বাচনী জনসভা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য এবং রাজশাহী সদর আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জননেতা মিজানুর রহমান মিনু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিনু বলেন, এই সরকার হাইব্রিড আওয়ামী লীগ সরকারে পরিণত হয়েছে। তাদের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, খুন, গুম, পুলিশি নির্যাতন ও নয়া আওয়ামী লীগের অত্যাচারে পুরাতন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এই কারণে তারা আর এই সরকারকে আর ভালবাসেনা। বর্তমান অবৈধ সরকার মেগা প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। এদেশের টাকা নিয়ে সরকার প্রধান ও তাঁর দোসররা বিদেশে বসবাস করার জন্য বাড়ি গাড়ি ক্রয় করেছে। তারা আসলে এদেশকে ভালবাসে না। বর্তমান সরকার গোপালপুর ছাড়া কোন বিভাগের উন্নয়ন করেননি। এ কারনে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনসমর্থন হারিয়ে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এখন বিনা ভোটের নির্বাচন করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করছে। ধানের শীষের প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা প্রদান এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে। অনকে প্রার্থীকে সরকার দলীয় প্রার্থীর নির্দেশে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করছে বলে মিনু সভায় উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি আমলে দেশের জনগণ শান্তিতে বসবাস করতেন। জনগণ সকল প্রকার স্বাধীনতা ভোগ করতেন। এছাড়াও তিনি যখন সিটি মেয়র ও সংসদ সদস্য ছিলেন তখন মহানগরীবাসী সোহার্দ্যপূর্ণ ভাবে বসবাস করতেন। তিনি কোন প্রকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করতেন না। তিনি সকলের মেয়র ও সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি রাজশাহীর সকল প্রকার উন্নয়ন করেছিলেন। রাজশাহী মহানগরীকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি ও নিরাপদ সিটি হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকার এই শহরকে সন্ত্রাস ও মাদকের শহরে পরিণত করেছে। এরফলে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে চলে গেছে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করায় হাজার হাজার বেকারত্ব বেড়েছে এই ১০ বছরে।

তিনি নির্বাচিত হলে রাজশাহীতে শিল্প কারখানা স্থাপন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। সেইসাথে প্রতিটি পরিবারে গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হবে। রাজশাহীতে উন্নয়নের জন্য ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। তিনি নগরীকে শিক্ষা নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা গড়ে তোলেন। এছাড়াও অবকাঠামো উন্নয়নে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। আর,ডি, এ ভবন, বড় মসজিদ, জজ কোর্ট ভবন, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভবন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ভবনসহ নানাবিধ অবকাঠামো তিনি করেন। সেইসাথে যোগাযোগ ও জনগণের চলাচলের জন্য ছোট রাস্তাগুলোর প্রসস্তকরণ, সিটিবাইপাস, বিভিন্ন রাস্তা প্রসস্তকরণসহ সকল রাস্তার সংস্কার এবং নতুন রাস্তা তৈরী করেন তিনি। এছাড়াও জলাবদ্ধতা নিরসনের তিনি মাস্টার ড্রেন তৈরী, ফুটপাত নির্মান ও তার পাশে বৃক্ষরোপন করেন। সেইসাথে নগরীর বিভিন্ন মাঠ, গোরস্থান ও ফাঁকাস্থানে বৃক্ষরোপন করে নগরীকে একটি বোটানিক্যাল গার্ডেনে রুপান্তরিত করেন। রাজশাহীর উন্নয়নের চাকা সচল করতে বিএনপি’র কোন বিকল্প নাই উল্লেখ করে ৩০ তারিখ ধানের শীষে ভোট প্রদানের জন্য জনগণের প্রতি অনুরোধ করেন। সেইসাথে ২৯ তারিখ থেকে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র কঠোরভাবে পাহারা এবং পরেরদিন ভোট শেষে গণনা সমাপ্ত করে সেন্টার থেকে বের হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন মিনু।

সাবেক মেয়র বুলবুল বলেন, সরকার নানাভাবে নির্বাচন বাতিল করার পাঁয়তারা করছে। ভোটের দিন যেন সাধারণ ভোটারগণ ভোট কেন্দ্রে না যায় তার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনী বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে গ্রেফতারের নামে তা-ব চালাচ্ছে। প্রতিরাতে বাড়ির সকল সদস্যকে হয়রানী ও হুমকী দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবেনা বলে জানান তিনি। কোন প্রকার ভয় না করে সকল ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে সকাল ৭টার মধ্যে উপস্থিত হয়ে ধানের শীষের ভোট প্রদানের আহবান জানান বুলবুল।

এদিকে জনসভা উপলক্ষে ছোট বনগ্রাম হাউজিং প্লট মাঠে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হন। মাঠ কানায় কানায় বরে যায়। এসময়ে তারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ধানের শীষে ভোট প্রদানের জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। উপস্থিত জনগণ, নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটারগণ সকল বাধা উপেক্ষা করে ধানের শীষে ভোট প্রদান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এসময়ে নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসন বুলবুল, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য সহিদুন্নাহার কাজী হেনা, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএবপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সাবেক কাউন্সিলর মাসুদ, সাংগঠনিক ২০ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ আলী, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, সহ-সভাপতি সাকলাইন ইকো, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টিটু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুরাজ আলী, যুবনেতা আমিন, আকতার, তোতা, রিয়াজ, ফাহি, মুস্তাক, মুন্না, অমিত, সাইদুর, আকাশ, বাবু, আলতাফ, জিল্লুর রহমান, রজব আলী, জসিম উদ্দিন, মহিলানেত্রী রোজি ও জাহেদা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য ইলিয়াস বীন কাশিম, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, ছাত্রনেতা সাহান, সুলতান-১, সুলতান-২, ছানা ও টুটুল,

(প্রেস বিজ্ঞপ্তি) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.