নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে মোটর সাইকেলের নিষেধাজ্ঞা বাতিল চান সাংবাদিকরা

ঢাকা প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে ‘নিষেধাজ্ঞা’ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন ব্যহত হবে।

গতকাল রোববার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এমন শঙ্কা করেছে। সেইসঙ্গে সংগঠনটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কাছে এমন সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য লিখিতভাবে দাবি জানারো হয়।

আরএফইডির সভাপতি সোমা ইসলাম স্বাক্ষরিত সিইসির কাছে এ সংক্রান্ত দেয়া পত্রে বলা হয়, ‘গত ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামানের সই করা এক নীতিমালায় বলা হয়েছে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত এবং অনুমোদনসূচক স্টিকারযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন।

মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য কোনো স্টিকার ইস্যু করা হবে না। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত প্রথা ও রেওয়াজ বিরোধী। কারণ অতীতের সব নির্বাচনে সাংবাদিকরা নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ করা স্টিকার মোটরসাইকেলে লাগিয়ে তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছে।’

চিঠিতে বলা হয়, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠুও গ্রহণযোগ্য করতে মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন এবং নির্বাচনের সব খবর সাধারণ মানুষের কাছে সরবরাহ করে থাকেন, যা একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য নির্বাচনের মাঠে সাংবাদিকদের অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

সাংবাদিকদের অবাধ ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের অন্যতম ও সহজ একটি মাধ্যম মোটরসাইকেল। এ অবস্থায় মোটরসাইকেলের জন্য স্টিকার সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বকে বিঘ্নিত ও ব্যহত করবে।’

চিঠিতে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলের অনুকূলে স্টিকার বরাদ্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চিঠির অনুলিপি চার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও যুগ্ম-সচিবকে (জনসংযোগ) দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন এরইমধ্যে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত চারদিনের মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলে ব্যবহারের জন্য স্টিকার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে নির্বাচনে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারছেন না। অথচ সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলই হচ্ছে সাংবাদিকদের মূল বাহন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.