নিখোঁজের ৬ দিন পর উদ্ধার হয়েছে অপহৃত টিপু রাজনীতি করার শিক্ষা দেবো তোকে

 

নাটোর প্রতিনিধি : নিখোঁজের ৬ দিন পর নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাঁগুয়ারদিয়ার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি টিপু সুলতানকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সে বর্তমানে রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালেচিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

এদিকে নিখোঁজ ছেলের সন্ধান পাবার কথা শুনে সোমবার রাতেই ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে নাটোর ছাড়েন পিতা শাহজাহান আলী। তিনি ছেলের উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি মুঠোফোনে জানান, সোমবার রাতে মোবাইল ফোনে তার ছেলের ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তির খবর পান।

ঢাকার দক্ষিণ মুগদা এলাকার আওলাদ নামের এক ব্যক্তি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ খবর পেয়ে ওই রাতেই রওনা দেন ছেলের কাছে। সকাল সাতটায় সেখানে পৌছেন।এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে টিপুর কথোপকথনের একটি অডিওক্লিপ হাতে পৌছেছে যেখানে অবহৃত অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন টিপু।

কারা অপহরণ করেছিল জানতে চাইলে টিপু বলেন ‘রাজনীতি করার শিক্ষা’দেবো তোকে, বলে শাসাতে থাকে তারা।উদ্ধারকারী পথচারী আওলাদ জানান, টিপু সুলতানকে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পশ্চিম পাশের হাইওয়ে ব্রিজের পাশে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

এরপর তিনি তাকে নিকটস্থ মুগদা থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই হাসপাতালে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভর্তি করেন।সোমবার রাতে হাত-চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে কমলাপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন হাইওয়ের উপর ফেলে রেখে চলে যায় অপহরণকারীরা।

এ সময় রবিন নামে স্থানীয় এক যুবক তাকে উদ্ধার করে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করে।উল্ল্যেখ্য, গত ২৪শে এপ্রিল সকালে নিজ বাড়ি থেকে বের হয় আর ফিরে আসেনি ছাত্রলীগ নেতা টিপু। সোমবার সকালে তাকে রাজধানীর কমলাপুর থেকে উদ্ধার করা হয়।

টিপু মুঠোফোনে জানান, গত ২৪ এপ্রিল তিনি অসুস্থতা নিয়ে বাড়িথেকে বের হয়ে নাটোর সদর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নাটোর পুরাতন জেলখানার কাছে অপরিচিত এক ব্যক্তি কিছু কথা আছে বলে একটি অটোতেডেকে নেন। এরপর তার নাকের কাছে কিছু ধরা হয়। তারপর তিনি আর কিছু জানেন না বলে জানান।

জ্ঞান ফিরে তিনি দেখেন একটি অন্ধকার ঘরে তাকে রাখা হয়েছে। সেখানে মুখ বাঁধা পাঁচজন লোক তাকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করতো এবং তাকে অজ্ঞান করে রাখা হতো। এরপর সোমবার রাতে তিনি জ্ঞান ফিরে দেখেন একটি হাসপাতালে শুয়ে আছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.