নাফ নদের জালিয়ার দ্বীপ থেকে সাড়ে ২২ কোটি টাকার আইস উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন নাফ নদের জালিয়ার দ্বীপ এলাকা থেকে চার কেজি ১৭৫ গ্রাম ভয়ঙ্কর মাদক আইস (ক্রিস্টাল মেথ) উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ২২ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ সময় ৫০ হাজার পিস ইয়াবাও উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এ তথ্য বিটিসি নিউজকে জানিয়েছেন।
সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে বিজিবি অধিনায়ক অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, ‘আজ বুধবার ভোরে মিয়ানমার থেকে নাফ নদ হয়ে মাদকের একটি বড় চালান জালিয়ার দ্বীপ সীমান্তে প্রবেশের খবরে বিজিবির দুইটি টহল দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এতে একটি কাঠের নৌকা শূন্য রেখা অতিক্রম করে ওই এলাকা দিয়ে ঢোকার সময় বিজিবির টহলদল নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করে।’
এসময় নৌকাটি  মিয়ানমার সীমান্তের দিকে চলে যেতে থাকলে বিজিবি টহলদল তাদের ধাওয়া করে বলে জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নৌকাটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে থামানোর চেষ্টা করলে চোরাকারবারীরা নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, ক্রিস্টেল ও ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আইস কী?
ভয়ংকর মাদক আইসের পূর্ণ নাম ক্রিস্টাল মিথাইল অ্যামফিটামিন। এটা ১০ থেকে ১২ বার সেবনে একজন মানুষের মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাব পড়ে। এতে যেকোনও ব্যক্তি আত্মহত্যাও করতে পারে। দেশে সর্বপ্রথম আইস ধরা পড়ে ২০০৭ সালে। তারপর ১০-১২ বছর এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ২০১৯ সালে আবারও এই মাদকের আবির্ভাব ঘটে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কক্সবাজার প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.