নাটোরে শ্বশুরবাড়িতে জামাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ॥ স্ত্রী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়িসহ আটক ৪

 

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে শ্বশুরবাড়ির অদূরে বিলের একটি পুকুরের পার থেকে জামাতা আলীফ হোসেন (২৫)এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ মে) দুপুরে উপজেলার নগর ইউনিয়নের ভরতপুর তালশো গ্রামের একটি বিলের মধ্যে অবস্থিত পুকুরের পার থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে উপজেলার জোনাইল আদগ্রাম এলাকার ফয়েজ আলীর ছেলে।

তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে আলীফের পরিবার। ঘটনার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলীফের স্ত্রী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও দাদী শ্বাশুড়িকে আটক করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিটের জখম রয়েছে। স্ত্রী’র পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হত্যার কারণ হিসেবে দেখছে অনেকেই।

 

 

এলাকাবাসী জানায়, গত দুই বছর আগে আলীফ হোসেনের সাথে ভরতপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে সোনিয়া আক্তার বেদানার বিয়ে হয়। গত ৪ মাস ধরে আলীফ শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিলো। আলীফ বড়াইগ্রামের লক্ষীকোল বাজারে একটি মিষ্টির দোকানে কর্মচারীর কাজ করতো।

এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে, স্ত্রী পরকীয়া প্রেমের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনার জের ধরে আলীফকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বড়াইগ্রাম থানার নব-নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাবাসাদের জন্য স্ত্রীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের পর হত্যার সঠিক কারণ জানা যাবে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.