নাটোরে শত টন গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি উৎপাদন

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের হাটবাজারে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপিতে ভরপুর। পাঁচ হেক্টর জমিতে অন্ততপক্ষে একশ টন ফুলকপি উৎপাদন হচ্ছে নাটোরে। অর্গাণিক হওয়াতে খেতে সুস্বাদু। দামও নাগালের মধ্যে।
নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, নিরাপদ উচ্চমূল্য ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় চলতি গ্রীষ্মকালে ফুলকপি আবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এই উদ্যোগের ফলে পাঁচ হেক্টর জমিতে ফুলকপি আবাদ হয়। উৎপাদন অন্তত শত টন।
কৃষি বিভাগ নির্বাচিত ১২ জন কৃষকের প্রত্যেককে ৫০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি আবাদে প্রয়োজনীয় বীজ, জৈব সার, কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ দুই হাজার টাকা প্রদান করে। সেই সাথে নিবিড় যোগাযোগ আর প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে চারা রোপন করা হয়। আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে জমি থেকে উত্তোলন হয় ফুলকপি। জুলাই এর শেষ থেকে বাজারে পর্যাপ্ত ফুলকপির সরবরাহ। এখন দাম সস্তা। প্রতি কেজি ৫০ থেকে
৭০ টাকা। তবে মৌসুমের শুরুতে ছিলো ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। ন্যায্যমূল্যে ফুলকপি বিক্রি করতে পেরে লাভবান হচ্ছেন নাটোরের কৃষকরা।
নাটোর সদর উপজেলার দিয়ার ছাতনী এলাকার কৃষক আবুল কালাম আজাদ জানান, তার দুই বিঘা জমিতে
ফুলকপি চাষ করেন।কৃষি বিভাগ প্রদর্শনী খামার স্থাপন করে প্রয়োজনীয় জৈব ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক, পোকামাকড় দমনের ফাঁদ এবং পরিচর্যার জন্যে দুই হাজার টাকা প্রদান করে। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই ফুলকপি বিক্রি শেষ করেছি। শুরুতে দামও বেশ ভালো পেয়েছি। সবমিলিয়ে ৫০ হাজার টাকার খরচ বাদ দিয়ে মুনাফা হয়েছে দেড় লাখ টাকা।
সাত বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষাবাদকারী কৃষক আগদিঘার কৃষক আকবর আলী জানান, গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি অত্যন্ত লাভজনক সব্জি। জমিতে পর্যায়ক্রমে ফুলকপি বিক্রি করছি। প্রায় আরো এক মাস বিক্রি করতে পারবো। বৃষ্টির পানিতে অনেক সময় ফুলকপিতে পঁচন ধরার একমাত্র সমস্যার কথা জানান তিনি।
গৃহবধূ রোকেয়া বেগম বলেন, মনে হয় গ্রীষ্মকালীন ফুলকপিতে সারের আধিক্য নেই। তাই এই কপি অনেক সুস্বাদু।
উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদুল ইসলাম বলেন, নাটোরের কৃষি বৈচির্ত্যকরণে ভরপুর হয়ে উঠেছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলাম আমরা। কপি চাষ করে তাঁরা সফল হওয়াতে আমাদের প্রশান্তি। ভবিষ্যতে এই ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.