নাটোরে মসজিদে ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসীর বর্বরচিত হামলার মোটিভ উদ্ধার হয়নি


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর শহরের চকরামপুরে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদের উপর বর্বরচিত হামলার তিন দিন অতিবাহিত হলেও কোন মোটিভ খুঁজে পায়নি পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে শহরের চকরামপুরে বায়তুন নূর জামে মসজিদে প্রতিদিনের মত নামাজ পড়তে যান ফরিদ আহমেদ(৬৫)। আসরের নামাজের দুই রাকাত নামাজ আদায়ও করেন তিনি।
এসময় তার আর্তচিৎকারে স্থানীয় মুসল্লী সরদার মোঃ আরিফুর রহমান পলাশ, আকতার মন্ডল বিডিআর ও আব্দুস সাত্তার এগিয়ে আসেন।
সরদার মোঃ আরিফুর রহমান পলাশ জানান, ফরিদ আহমেদ এলাকায় সৎ ও দানশীল ব্যবসায়ী হিসাবে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা করে আসছেন। শুক্রবার আসরের নামাজ আমরা একসাথেই পড়ছিলাম। আমাদের কাতারেই ছিলেন ফরিদ চাচা। তার পেছনের কাতারেই ছিল চকরামপুর মহল্লার মৃত মান্নাফের ছেলে সন্ত্রাসী জুয়েলও নামাজ পড়ছিল। প্রথম এক রাকাত শেষ হলে আমরা দ্বিতীয় রাকাতে সিজদায় যাওয়ার পরেই আমরা হঠাৎ ধুপধাপ শব্দ ও ফরিদ আহমেদের আর্তচিৎকারে নামাজ ছেড়ে দেই।
পলাশ আরও জানায়, হাতুড়ি হাতে সেসময় দ্রুত মসজিদ থেকে জুয়েলকে পালিয়ে যেতে দেখি। গুরুতর জখম হওয়া ফরিদ আহমেদকে আমরা দ্রুত আধুনিক সদর হাসপাতালের নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। মাথার তিন চারটি স্থানে এবং কোমরে গুরুতর জখম হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করার পরামর্শ প্রদান করেন। সন্ধ্যায় ফরিদ আহমেদের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগী ফরিদ আহমেদের পুত্র জাহাঙ্গীর বলেন, আমার বাবা একজন সরল ও সৎ ব্যবসায়ী। চকরামপুর এলাকায় আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বয়স প্রায় চলি­শ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে আমরা সৎ ও সততার সাথেই এলাকায় বসবাস করছি। তবে বেশকিছু দিন ধরে সন্ত্রাসী জুয়েল মাঝে মাঝেই আমার বাবা ফরিদ আহমেদের কাছে এসে চাঁদা দাবি করতো। জুয়েল কোন কাজ করে না এবং সে নেশাগ্রস্থ। কেউ মাদকসেবী সন্ত্রাসী জুয়েলকে ব্যবহার করে আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার রাতেই পুলিশ সন্ত্রাসী জুয়েলকে আটক করে। জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃত হুকুমদাতাকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। মসজিদের কমিটি গঠন কেন্দ্রীক এই হামলা চালানো হতে পারে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।
এ ঘটনায় নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.