নাটোরে বিস্ফোরণের পর ৮টি ককটেল উদ্ধার, বিএনপির দেড় শতাধিকের বিরুদ্ধে মামলা

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া বাজার এলাকায় ৫টি শক্তিশালী ককটেল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ ওহাব মন্ডল নামে বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
এ ঘটনায় ২০ নেতাকর্মীর নামসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নাটোরে আবারও সোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে বোমা সদৃশ ৮টি ককটেল উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
গত শনিবার রাতে একই সময় জেলার লালপুর উপজেলার গোপালপুর বাজারে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে চারটি ককটেল ও দুটি পেট্রলবোমা উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় বিএনপির ৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। জেলা বিএনপির নেতাদের দাবী, এই ঘটনাকে সাজানো নাটক বলে দাবি করেন।
নাটোর সদর থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে থানায় কল করে জানানো হয়, ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ডাঙ্গাপাড়া বাজারের পাশে আবদুর রাজ্জাক নামের এক লোকের নির্মাণাধীন চায়ের দোকানে গিয়ে সেখান থেকে আটটি ককটেল উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানান, কিছুক্ষণ আগে সেখানে পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ওহাব মন্ডল নামের বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
আজ মঙ্গলবার সকালে নাটোর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম ককটেল উদ্ধারের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় গতকাল রাতেই একটি মামলা হয়েছে।
বিস্তারিত জানার জন্য তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এরশাদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন। পরে ওই কর্মকর্তাকে কল করলে তিনি তা ধরেননি।
জানা যায়, গত সোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ৯৯৯ থেকে ফোন করে পুলিশকে জানানো হয় ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় বোমা বিস্ফোরিত হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া বাজার এলাকায় গিয়ে জনৈক রাজ্জাকের চায়ের দোকান থেকে ৮টি শক্তিশালী বোমা (লাল স্কসটেপে মোড়ানো) উদ্ধার করে। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ওহাব মন্ডল নামে বিএনপি সমর্থক একজনকে আটক করা হয়। এর আগে ৫টি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে বলে পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহমেদ বলেন, এ ঘটনার পর বাড়তি সতর্কতা গ্রহন করা হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আর কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে ।
নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির মহাসমাবেশ। এ উপলক্ষে জেলাজুড়ে বিএনপির কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন। তাঁদের ভয় দেখানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে বিস্ফোরক উদ্ধার, শব্দ শোনার সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে।
এসব ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.