নবীগঞ্জে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: নবীগঞ্জে তিন সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুনকে প্রধান আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও ৯ জনকে আসামী করা হয়েছে। এঘটনায় খালেদ নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নে নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিক শাহ সুলতান আহমেদসহ ৩ সাংবাদিককে মারধর করেন আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন।
এনিয়ে সর্বত্র তোলপার চলছে। আহত সাংবাদিক শাহসুলতানকে হাসপাতালে দেখতে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহ নওয়াজ মিলাদগাজী,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল,থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এঘটনায় জরুরী সভার আয়োজন করে নবীগগঞ্জ প্রেসক্লাব। আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি সরওয়ার শিকদার। সাধারন সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সন্ত্রাসী হামলার নায়ক চেয়ারম্যান হারুন ও তার সহযোগীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আউশকান্দি ইউনিয়নে নিম্ন আয়ের মানুষদের ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান তাদের দেন ৫ কেজি করে। এ নিয়ে গত ৩০ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘আসুন অসহায় দিনমজুরদের মনের কথা শুনি’ শিরোনামে এক লাইভে সাধারণ মানুষের বক্তব্যসহ অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিক শাহ সুলতান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বুধবার বিকেলে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সহকারে আউশকান্দি বাজারে শাহ সুলতান আহমেদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন নিজেই ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন সুলতানকে। এ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেলে সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান ও বুলবুল আহমেদকেও মারধর করে সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয় লোকজন শাহ সুলতানকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সাংবাদিক মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ নিয়ে থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, হামলাকারীদের  গ্রেতারের চেষ্টা চলছে। নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত  প্রধান আসামী চেয়ারম্যান হারুনসহ অপর আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি মোঃ আলাল মিয়া। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.