দিল্লিতে বৈঠক, বিজেপি-বিরোধী জোটের অন্য পরিকল্পনা?

(দিল্লিতে বৈঠক, বিজেপি-বিরোধী জোটের অন্য পরিকল্পনা?–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের দুই বছর আগে থেকেই বিজেপি-বিরোধী জোটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসসহ বিভ্ন্ন দলের অংশগ্রহণে ওই রাজনৈতিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
খবরে বলা হয়, নয়াদিল্লিতে এনসিপি সুপ্রিমোর বাসভবনে আম আদমি পার্টি (আপ), তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি), ন্যাশনাল কনফারেন্স, বামদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের তরফে বৈঠকে ছিলেন যশবন্ত সিনহা। যিনি বিজেপি-বিরোধী অরাজনৈতিক রাষ্ট্রীয় মঞ্চের আহ্বায়ক।
বৈঠকের পর সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধি ঘনশ্যাম তিওয়ারি বলেন, ‘আজকের বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু ছিল যে দেশের জন্য একটি বিকল্প লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করা। যা আমজনতার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে। দেশের মানুষের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে মজবুত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির জন্য একটি দল গঠন করার পরিকল্পনা হয়েছে। সেজন্য যশবন্ত সিনহাকে নিয়োগ করেছে রাষ্ট্রীয় মঞ্চ।’
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ওই বৈঠকটির গুরুত্বকে প্রকাশ্যে তেমন বড় করে দেখাতে রাজি নন অংশগ্রহণকারীরা। পুরো বিষয়টিকে আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে ঐক্যের মঞ্চ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এ বৈঠককে ঘিরে নানা বিষয়ের ইঙ্গিত পাচ্ছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দু’সপ্তাহে দু’বার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাওয়ার। তারপরই বিরোধী নেতাদের বৈঠকের কোনও রাজনৈতিক কারণ থাকবে না, সেই ভাবনাটাই ধোপে টিকছে না। বিশেষত সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপানো সত্ত্বেও প্রশান্তের কৌশলে লড়াইয়ে নামা তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় যেভাবে বিজেপিকে আটকে দিয়েছে, তাতে বিরোধী নেতাদের বৈঠকের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। যদিও খোদ প্রশান্ত জানিয়েছেন, তৃতীয় বা চতুর্থ ফ্রন্ট বিজেপিকে ঠেকাতে পারবে না।
সেই জল্পনার মধ্যেই একটি মহল থেকে দাবি করা হয়, কংগ্রসকে বয়কট করা হয়েছে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন এনসিপির মাজিদ মেনন। তিনি দাবি করেন, কংগ্রেসেকে বয়কট করা বা পাওয়ার বড়সড় কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সেই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কংগ্রেসের সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যদিও সেই বৈঠকে পাত্তা দিতে রাজি নয় বিজেপি এবং জোটসঙ্গীরা। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও বিকল্প নেই। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.