দিঘলিয়া প্রতিমা তৈরির কারিগররা পার করছেন ব্যাস্ত সময় 

বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি: কয়েকদিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হবে। এ পূজাকে সামনে নিয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার প্রতিমা তৈরির কাজে নিয়োজিত কারিগরগণ। দুর্গাপূজার বাকি মাত্র ৫ দিন। সময় কম থাকায় মন্ডপে মন্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তে প্রতিমা তৈরি ও রং তুলির কাজ শেষ করার ব্যস্ততা।  
খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলায় এ বছর ৬০টি পূজামন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তাইতো দিন রাত মন্ডপে মন্ডপে দেবী দূর্গা, গনেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কাজে নিয়োজিত ভাষ্করগণ। প্রতিটা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজে কারিগরদের সামনে সময় কম, তাই দিন রাত ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে চলেছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। কাদামাটি দিয়ে গড়া দেবী দূর্গার প্রতিমায় ভরে উঠছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির। কোনো কোনো মন্দিরে চলছে প্রতিমাগুলোতে দো-মাটির কাজ।
এ সকল মন্দিরের প্রতিমাগুলোতে দো-মাটির কাজ শেষ হলেই শুরু হবে রং তুলির কাজ। কোনো কোনো মন্দিরে প্রতিমাগুলোতে রং তুলির কাজ করছেন কারিগরগন। প্রতিটা মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে আকার ভেদে কারিগররা মজুরি গ্রহণ করছেন ২০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
প্রতিমা তৈরির কাজে নিয়োজিত কারিগর বিকাশ পাল, দিলিপ পাল ও তাপস পাল এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিমা তৈরিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় খরচ বেশি হচ্ছে।
দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি শিব মন্দিরে পূজা আয়োজক কমিটির সভাপতি রমেশ দাস, সহ-সভাপতি প্রদীপ দে, সাধারণ সম্পাদক শিপুল দাস ও কোষাধ্যক্ষ উৎপল রায় এ প্রতিবেদককে বলেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে বেশি মজুরি গ্রহণ করছেন প্রতিমা তৈরির কাজে নিয়োজিত ভাষ্করগণ। যে কারণে পূজার খরচ বেড়েছে অনেক।
দিঘলিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সৌমিত্র দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এ বছর খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলায় ৬০টি পূজামন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সময় হাতে কম থাকায় প্রতিমা তৈরির কারিগর ও আয়োজকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। পূজার সময় যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক থাকে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকে সে বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এই নেতৃবৃন্দ।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিপন কুমার সরকার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, পূজা উপলক্ষে মন্দির কেন্দ্রিক গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিট অফিসারা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া পূজার দিনগুলোতে আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এবং প্রতিটা মন্ডপের কমিটিদের সেচ্ছাসেবক নিয়োগের ব্যাপারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটা মন্দিরে যাতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয় সে ব্যাপারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.