ত্রান নিয়ে জামাই-শ্বাশুড়ির ঝগড়ায়, নিজ অর্থে চেয়ারম্যানের ত্রান বিতরণ

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: ত্রাণ বিতরণকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর মেয়র বেগম আশানূর বিশ্বাসের জামাতা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সাজেদুলের সাথে ঝগড়া হয়েছে। পরে  ত্রান বঞ্চিতদের নিয়ে এসে জামাতা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল নিজ অর্থায়নে ৪ শত পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। ঝগড়ার সময় চেয়ারম্যানের লোকজন দ্বারা পৌর কাউন্সিলর আলম প্রামাণিক লাঞ্চিত করেছেন এমন অভিযোগ করেন শ্বাশুড়ী পৌর মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বেলকুচি পৌরসভা কার্যালয়ে শ্বশুরের সামনেই জামাতা-শ্বাশুড়ীর ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। পরে কর্মহীন ত্রান বঞ্চিতদের ডেকে এনে উপজেলার আলহাজ সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় গেট সংলগ্ন থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুলের নিজ অর্থয়নে ১০ কেজি করে ৪ শত পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন করেন।
এই বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর আলম প্রামানিক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাক্ষর ছাড়া স্লিপ আসার কারণে আমি ত্রাণ দিতে নিষেধ করি। এ কারণে উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল ও তার ভাই সাজ্জাদূল হক রেজাসহ কতিপয় লোক এসে আমাকে গালমন্দ এবং মারধর করেন।
এদিকে এই বিষয়ে পৌর মেয়র বেগম আশানূর বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমার কাছে পৌর প্যানেল মেয়র ইকবাল রানার মাধ্যমে  উপজেলা চেয়ারম্যান ত্রাণের বিতরণের জন্য ১শত স্লিপ বরাদ্দ চায়। তাকে দেওয়ার মত ১শত স্লিপ না থাকায় তাকে ৩৫ টি স্লিপ দেয়া হয়। ত্রাণ বিতরণের সময় প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ আসে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ছারা সিল দেওয়া স্লিপ নিয়ে। আমি স্লিপগুলি হাতে নিয়ে দেখি শুধু সিল দেওয়া তাতে কোন সাক্ষর দেওয়া নেই। তাই তাদের ত্রাণ দেওয়া হয়নি। এ কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এসে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। আমার পৌর কাউন্সিলর আলমকে লাঞ্চিত করে। আমি বিষয়টি বেলকুচি ইউএনও এবং ডিসি মহাদয়কে অবহিত করেছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সাজেদুল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, যদিও আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি তবে এ উপজেলার সবাই আমার আপনজন। সাধারণ মানুষের এই দূর্ভোগের সময় ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার জন্য পৌর এলাকার মানুষ আমার কাছে আসেন। পরবর্তীতে আমি পৌর প্যানেল মেয়রের সাথে কথা বলে কিছু অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণের স্লিপ দেই। কিন্তু সেই বন্টনকৃত স্লিপের মানুষগুলি ত্রাণ সহায়তা নিতে গেলে মেয়র সাহেব কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে ত্রাণ দিয়ে বাকীগুলো ফেরত পাঠান। এই বিষয়টি আমি জানতে পেরে মেয়রকে জিজ্ঞেস করি কেন ঐ ব্যক্তি গুলিকে ত্রাণ দেওয়া হয়নি। এটা শোনার পর আমার শ্বাশুড়ি মেয়র আশানূর বিশ্বাস ও শ্বশুড় বর্তামানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস আমার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। পরে আমি নিজ অর্থায়নে ত্রান বঞ্চিত ৪ শত অসহায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করি। পৌর কাউন্সিলরকে মারধরের বিষয় জানাতে চাইলে সে বলেন মারধরের মত এমন কিছু হয়নি শুধু কথা কাটা কাটি হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.