তিস্তা ব্যারাজে বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় কমিটির সমন্বয় সভা ও পুনর্মিলনী 

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় উপজেলায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে চার জেলায় অবস্থিত ১১১টি  বিলুপ্ত ছিটমহলের বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় কমিটির সমন্বয় সভা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে  উপজেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের হেলীপ্যাডে বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সভা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মইনুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ গোলাম মোস্তফা, লালমনিরহাট জেলা ইউনিটের সভাপতি আজিজুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, পঞ্চগড় জেলা ইউনিটের সভাপতি মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি তসলিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, নীলফামারী জেলা ইউনিটের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, সদস্য শেখ রাসেল, আলিমুজ্জামান, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিটের সভাপতি হযরত আলী, কুড়িগ্রাম জেলা ইউনিটের সদস্য আলতাফুর রহমানসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।
এ সময় বাংলাদেশ-ভারত বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের দাবি এবং দীর্ঘ দিনের ইতিহাস তুলে ধরে তাদের অধিকার বাস্তবায়নের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মইনুল হক বলেন, আমরা চাই ছিটমহলের বাসিন্দারা স্বাধীনতার অধিকার ভোগ করুক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি, কারন তিনি বাংলাদেশের ছিটমহলের সমস্যা সমাধান করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।একটি কুচক্রী মহল ইউনাইটেড কমিটি করে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার চেষ্টা করছে। আমরা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উক্ত কুচক্রী মহলের সদস্যদের কঠিন হাতে দমন করবেন।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের চারটি জেলা লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলায় মোট ১১১টি ছিটমহলের ১৭,১০৫ একর জায়গা ভারতের অংশ হিসেবে এবং ভারতের ছিটমহলগুলোকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে স্থানান্তরের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.