তিস্তার দুর্গম চরে বন্যা সহনশীল কাঠের মসজিদ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: তিস্তা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে নির্মাণ করা হলো বন্যা সহনশীল কাঠের দ্বিতল মসজিদ। লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি এলাকায় নির্মিত হচ্ছে মসজিদটি। নাম দেওয়া হয়েছে ‘চোংগাদ্বারা জামে মসজিদ’। লালমনিরহাট জেলায় এমন দৃষ্টিনন্দন কাঠের মসজিদ চরাঞ্চলে এটাই প্রথম।
জানা গেছে, এসএসসি ২০০৩ সালের পরীক্ষার্থীদের একটি সামাজিক সংগঠন হান্ড্রেট ক্লাব – এর অর্থায়ন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এ পর্যন্ত মসজিদটিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে স্থানটি উঁচু করে কাঠ, প্লেনশিট ও টালী টিন ব্যবহারের মাধ্যমে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। কাঠের প্রতিটি অংশে ফুটে উঠেছে নকশা। মসজিদটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা, করছে নামাজ আদায়। এমন একটি মসজিদ পেয়ে খুশি এলাকাবাসী। ২৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থের দ্বিতল এ মসজিদটিতে দুই শতাধিক মুসল্লি এক সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে অর্থসংকটে অজুখানা ও মসজিদের কিছু কাজ এখনো বাকি রয়েছে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন মসজিদে আসা নিয়মিত মুসল্লিরা।
মসজিদের মুসল্লিরা জানান, এ যাবৎ চারবার তিস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে মসজিদটি। শত চেষ্টা করেও মসজিদ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবারে তৈরি কাঠের মসজিদটি আমরা অন্য স্থানে সরিয়ে নিতে পারব, তাই নদীভাঙনের কোনো ভয় নেই।
মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. নবীর হোসেন বলেন, প্রতিবছর সাহায্য সহযোগিতার অর্থে নির্মাণ করা হয় মসজিদ। সেই মসজিদ তিস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু এবার ভাঙন দেখা দিলেও মসজিদটি খুব সহজে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া যাবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.