তালাক দেওয়া স্কুলেই বদলি শিক্ষক

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: ২০০৭সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর আসরাফুন্নেসার স্কুলশিক্ষকের চাকরি পান মুর্শিদাবাদের জাজন কেনারাম হাইস্কুলে। তিনি থাকেন বর্ধমানের কাটোয়াতে। সেখান থেকে রোজ স্কুলে যাতায়াত করার অসুবিধা হচ্ছিল। বাড়িতে তাঁর মেয়েও বড় হচ্ছিল যার বর্তমান বয়স আনুমানিক দশ বছর। এই অবস্থায় তিনি কাছাকাছি কোন এক স্কুলে বদলির আবেদন করেন। তাতে সারা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাঁকে কেতুগ্রামের আশুতোষ ইনস্টিটিউশনে বদলি করে।
তিনি কাজে যোগ দিয়ে কিছুদিন বাদে জানতে পারেন তাঁর পূর্বতন স্বামীও এই স্কুলে যোগ দিয়েছেন।
আসরাফুন্নেসার হাইকোর্টকে জানান, এই ব্যাক্তির সাথে আগে আমার বিয়ে হয়েছিল কিন্তু শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয় যা কিনা এখনও বিচারাধীন। তিনি এই অভিযোগে ৪৮ ঘন্টা কারাবাসেও ছিলেন। অথচ, জেনারেল ট্রান্সফার রুল অনুযায়ী,ফৌজদারি সহ যে কোন মামলায় অভিযুক্ত এমন বদলির সুযোগ পেতে পারেন না। এই তথ্য গোপন করে গিয়ে বদলির আবেদন করেছিলেন এই ব্যক্তি। এই অবস্থায় আমার পক্ষে স্কুলে কাজ করা চরম অস্বস্তিকর।
শিক্ষকের আইনজীবী আদালতকে জানান, তাঁকে বদলি হওয়া স্কুলে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি।
বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় স্থগিতাদেশ দিয়ে জানান ঐ শিক্ষককে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে পারবেন না।
ইতিমধ্যেই কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে ওই শিক্ষকের বদলি সংক্রান্ত নথি হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে বলে আদালত সূত্রে বলা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.