তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করায় ‘বাদশা গুল’ কোম্পানীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা


নিজস্ব প্রতিবেদক:  ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ লঙ্ঘন করায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অবস্থিত ‘বাদশা গুল’ নামে একটি তামাক কোম্পানীর মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৮ জুলাই ২০১৯) কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো. জহুরুল ইসলাম বাদি হয়ে কোম্পানীটির মালিক মো. রহমত আলীর বিরুদ্ধে জেলা সদর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুন ২০১৯ বিকালে কুড়িগ্রাম সদরের ত্রিমোহনী বাজারের অবস্থিত ‘মনজু কনফেকশনারী’ তে গিয়ে মামলার বাদি দেখতে পান- ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ১০ (১) ও ১০ (২) (খ) ধারা লঙ্ঘন করে ‘বাদশা গুল’ নামের এই কোম্পানিটি তৈরিকৃত গুলের কৌটা/প্যাকেট/মোড়কের উপরিভাগে আইন অনুযায়ী ৫০ শতাংশ জায়গাজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতকর্তা বাণী যথাযথভাবে স্থাপন করেনি।

মামলার বাদি মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১০ এর ১ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে- ‘তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট, মোড়ক, কার্টন বা কৌটার উভয় প¦ার্শে মূল প্রদর্শনী তল বা যে সকল প্যাকেটে দুইটি প্রধান পার্শ্বদেশ নাই সেই সকল প্যাকেটের মূল প্রদর্শনী তলের উপরিভাগে অন্যূন শতকরা পঞ্চাশ ভাগ পরিমাণ স্থান জুড়িয়া তামাকজাত দ্যব্যের ব্যবহারের কারণে সৃষ্টি ক্ষতি সম্পর্কে রঙ্গিন ছবি ও লেখা সম্বলিত, স্থান সম্পর্কিত সতর্কবাণী, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাংলায় মুদ্রণ করিতে হইবে।’

এছাড়া আইনের ১০ এর (২)এর (খ) ধারায় উল্লেখ আছে- ধোঁয়াবিহীন তামাকের ক্ষেত্রে ‘তামাকজাত দ্রব্য সেবনে মুখে ও গলায় ক্যান্সার হয়’ ও ‘তামাকজাত দ্রব্য সেবনে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হয়’।

আইন অনুযায়ী, এমন স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ বাণী ওই গুল কোম্পানীটির তৈরিকৃত কৌটায় অনুপস্থিত ছিল। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী- লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষ খোচা গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে ‘বাদশা গুল’ কোম্পানীর মালিক মো. রহমত আলীর বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম (সদর) আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন শিমুল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.