টাঙ্গাইলের বাসাইল যৌতুকের জন্য নববধূকে বিড়ির ছ্যাঁকা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিআজ সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় করাতিপাড়া এলাকায় যৌতুকের জন্য নববধূকে বিড়ির আগুনে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বামী সজিব মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

তিনি উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের আদাজান গ্রামের বাসিন্দা।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা ডিবি দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘বাসাইলে যৌতুকের জন্য এক নববধূকে বিড়ির আগুনের ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনায় গত ২৫ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

পরে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই মামলায় পলাতক থাকা প্রধান আসামি ওই গৃহবধূর স্বামীকে বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া এ মামলায় ওই গৃহবধূর শ্বশুরকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যহত রয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এর আগে পুলিশ ওই গৃহবধূর শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে।’

ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা আবুল হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘২২ দিন আগে সজিবের সঙ্গে আমার মেয়ে খাদিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সজিব ও খাদিজার মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।

বিভিন্ন সময় খাদিজার স্বামী যৌতুকের দাবিতে তাকে প্রায়ই মারধর করতেন। এরপর ২৩ এপ্রিল রাতে খাদিজাকে হাত-পা বেঁধে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট দিয়ে আগুনে ছ্যাঁকা দেয়।

পরে ২৪ এপ্রিল সকালে বিষয়টি আমাকে জানালে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনে দগ্ধ হওয়ায় কান্নাকাটি করছিল। এরপর ২৫ এপ্রিল দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা খাদিজা অবস্থায় খাদিজা অভিযোগ করেন, তাদের বিয়ে হয়েছে একমাসও হয়নি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী যৌতুক হিসেবে দিতে চাওয়া টাকা ও এক ভরি সোনার গহনার জন্য চাপ দিতে থাকেন।

এ নিয়ে প্রতিদিন তাকে মারধর করা হতো। শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিষয়টি দেখেও সজীবকে কিছু বলতেন না।

তারই ধারাবাহিকতায় ওই রাতে নেশার টাকা না পেয়ে তার সারা শরীরে বিড়ির ছ্যাকা দিয়ে ঝলসে দেন সজীব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.