জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে গাজায় : জাতিসংঘ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফুরিয়ে আসছে আসছে জ্বালানি। পানি, খাবার, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসেবা একদম ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে সব সেবা। এই সংকট কাটাতে জরুরি ভিত্তিতে জ্বালানি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সেইসঙ্গে ইসরায়েল সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। আহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ হাজার। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
যুদ্ধের শুরু থেকেই গাজায় পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। তখন থেকে তীব্র মানবিক সংকটে দিন কাটাচ্ছে গাজাবাসী। আর অনবরত বোমা হামলা তো আছেই। এর মধ্যে একাধিকবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস।
সংঘাতের ১৪ দিন পর প্রথম ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করে গাজায়। এখন পর্যন্ত ৫৬৯টি ট্রাক এই উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। কিন্তু কোনো ট্রাকেই জ্বালানি ছিল না।
জাতিসংঘের মানবাদিকার বিষয়ক সমন্বয়ক দপ্তরে মুখপাত্র জেনস লায়ের্ক বলেছেন, অনেক স্থাপনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র জ্বালানি নেই বলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংষ্থার মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমিয়ার বলেছেন, অনেক জীবন এখন ঝুঁকির মুখে। জ্বালানির অভাবে গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে গাজা প্রশাসন।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিতস জানিয়েছিলেন, গাজায় জ্বালানি প্রবেশের ব্যাপারে আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনো সাফল্য মেলেনি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.