জোড়াফুলে ভাসল শহর কলকাতা

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: সদ্যসমাপ্ত কলকাতার পৌরসভার নির্বাচনি ফলে কার্যত জোড়াফুলে ভাসল কলকাতা মহানগর। শাসক তৃণমূল প্রত্যাশিত মতো ১৪৪টি আসনের মধ্যে ১৩৪টিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পুরবোর্ড গঠন করতে যাচ্ছে।
বিধানসভার সাতমাস বাদে এই নির্বাচনে গেরুয়াবাহিনী বিপুল আসনে পর্যুদস্ত হয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে আসল। জনসঙ্ঘ থেকে বিজেপি গত ৭০বছরের ইতিহাসে গত পুরনির্বাচনে সাতটি ওয়ার্ড দখল করেছিল। এবার সেই সাত নেমে এল তিনে।
বামেরা মাত্র দুটি আসনে জিতলেও ভোটের শতকরা হারে বিজেপি কে পিছনে ফেলে দিয়েছে। ৬৬টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে আছে বামফ্রন্ট যা কিনা প্রদত্ত ভোটের ১১ শতাংশ। আর বিজেপি তিনটি ওয়ার্ডে জয়লাভ করলেও ভোটের হার নেমে এসেছে ৮ʼ৯৪ শতাংশে। কংগ্রেস ৪ʼ১২ শতাংশ ভোট পেয়ে ইনিংস শেষ করেছে।
এখন প্রশ্ন হলো বিজেপি-র এই শোচনীয় হারের দায় কে নেবে? যা নিয়ে দলের অন্দরে রীতিমত ঝড় উঠছে। কারণ কি ,আগে  বিজেপি বেশকিছু ভোট সহ আসন নিজেদের হেফাজতে রাখতে পেরেছিল। আর এখন দলে শুভেন্দু অধিকারী সহ সুকান্ত মজুমদারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যা কিনা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদেরও ভাবিয়ে তুলছে।
ইতিমধ্যেই ঐতিহাসিক ভাবে পুরভোটে নির্দল ৩টি আসন পেলেও তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রেখেছে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে একদা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন ও বিধায়ক তথা প্রাক্তন মেয়র শ্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় নির্বাচনে লড়ে আগেই বিধায়ক হয়েছিলেন এখন পুরভোটে সব থেকে বেশী ভোটে তাঁর কেন্দ্র ১৩১নং ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন। ৯৮ওয়ার্ডটি অরূপ চক্রবর্তী বহু বছর বাদে বামফ্রন্ট থেকে ছিনিয়ে নিতে পেরেছে।
৯৬ ওয়ার্ডে বসুন্ধরা গোস্বামী ,একদা প্রয়াত বামফ্রন্টের মন্ত্রী  ক্ষীতি গোস্বামীর কন্যা তৃণমূলের টিকিটে লড়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তৃণমূলের এই বিপুল জয় সম্পর্কে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই জয় মা মাটি মানুষের জয়। এটা গণতন্ত্রের জয়। আমাদের আরও বেশীকরে মাথানত করে মানুষের কাজ করতে হবে। বিরোধীদের সম্পর্কে বলেন,বিজেপি ভোকাট্টা,বামফ্রন্ট নো-পাত্তা,আর কংগ্রেস স্যাণ্ডুইচ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.