জীবন বাজি রেখে কর্মহীনদের দ্বারে দ্বারে ত্রাণ নিয়ে ছুটছেন সৈয়দপুর পৌর মেয়র

নীলফামারী প্রতিনিধি: করোনার প্রভাবে বিপর্যস্ত জনজীবন। ঘরে ঘরে একমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার। প্রয়োজনের তুলনায় সরকারী বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল হওয়ায় দিন দিন ক্ষুধার্ত মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। পথে নেমে আসছেন ত্রাণের দাবিতে। করছেন অবরোধ, বিক্ষোভ।

এমতাবস্থায় নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন সরকার পৌরবাসীর অভিভাবক হিসেবে চুপ করে বসে থাকতে পারেননি। অসুস্থাবস্থায় ছিলেন ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ও পায়ের ক্ষতের কারণে ব্যান্ডেজ অবস্থাতেই তিনি ছুটে এসেছেন পৌরবাসীর পাশে দাঁড়াবার জন্য।

এসেই তিনি শুরু করেছেন পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে ত্রাণ বিতরণ। সে সাথে বিভিন্ন সংস্থা ও দাতাদের সহযোগিতা নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন সহায়তা কার্যক্রম। নিজের শারীরিক অবস্থার দিকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ না করে তিনি প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় ছুটছেন নিজেই। পাশাপাশি পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরদের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন ত্রাণ বিতরণ।

এ পর্যন্ত তিনি পৌরবাসী হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে পৌর পরিষদের তহবিল থেকে বিতরণ করেছেন ৪২ টান চাল। যেখানে সরকারীভাবে পেয়েছেন মাত্র ৩ টন চাল। এর সাথে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এর সহযোগিতায় ৩০ লাখ নগদ টাকা দিয়েছেন পৌর এলাকার কর্মহীন লোকজনের মাঝে।

ইউএনডিপি’র মাধ্যমে ৩৯ হাজার ৭শ’ টি সাবান ১০ হাজার ৫১৬টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করেছেন।

এছাড়াও পৌর এলাকার ৫০টি পয়েন্টে স্থাপন করেছেন হ্যান্ড ওয়াস বেসিন। জনসচেতনতায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিলবোর্ড, সাইন বোর্ড স্থাপনসহ পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে প্রধান প্রধান সড়কের মোড়ে মোড়ে দেয়া হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা জীবানুনাশক পানি। এস কে এস ফাউন্ডেশন প্রদত্ত ৩০ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি দিয়ে ধৌত করা হয়েছে সবগুলো সড়ক।

দূর্যোগপূর্ণ এসময়ে তার কার্যক্রম নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন সরকার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বিত্তশালীদের উচিত এ মুহুর্তে নিজ নিজ এলাকার গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো। ধীর গতিতে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা। এ দূর্যোগ কতদিন থাকবে বলা খুবই কঠিন।

তাই ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের প্রয়োজন। যদি আমরা সমন্বয়হীনভাবে একবারেই সব ত্রাণ বিতরণ করে দেই। তাহলে ভবিষ্যতে সংকট সৃষ্টি হবে।

তাই এক্ষেত্রে সকলকে সতর্ক থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী ত্রাণ বিতরণের জন্য আহ্বান জানান তিনি। নতুবা দেখা যাবে এমন অনেকে একসাথে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সহায়তা পাচ্ছেন, কিন্তু আবার অনেকে একেবারেই কোন প্রকার সহায়তা না পেয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নীলফামারী প্রতিনিধি এম কে আনোয়ার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.