জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনে সময় কমিয়ে আনতে চায় সরকার

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছি। লবণাক্ততা, খরা, জলমগ্নতা, উচ্চ তাপমাত্রাসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশে চাষের উপযোগী বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক সফলতাও এসেছে। কিন্তু এসব জাত উদ্ভাবনে অনেক সময় লেগে যায়। এটিকে আমরা কমিয়ে আনতে চাই। এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডের সহযোগিতা প্রয়োজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডের স্থানীয় সময় বিকালে দেশটির ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট লুইজি ও. ফ্রেসকোর সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষি, খাদ্য ও লাইফ সাইন্সের গবেষণা এবং শিক্ষায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নিকট কৃষিমন্ত্রী লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) উপস্থাপন করেন।
মন্ত্রী কৃষি গবেষণা বিশেষ করে দ্রুত ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্ট ক্রপ ভ্যারাইটি উদ্ভাবন, পচনশীল কৃষিপণ্যের সংরক্ষণকাল বাড়ানোর গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে এবং বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণ কর্মীদের প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রেসিডেন্ট লুইজি ও. ফ্রেসকো এসব বিষয়ে সহযোগিতায় বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন। শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্ট করার প্রতি জোর দেন।
এর আগে দুপুরে কৃষিমন্ত্রী ও ফার্মিং সিস্টেম বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ ড. রাজ্জাক ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ড প্ল্যান্ট ইকো-ফেনোটাইপিং সেন্টার (এনপিইসি) পরিদর্শন করেন।
সেখানে তিনি পচনশীল কৃষিপণ্যের সংরক্ষণকাল বাড়ানোর গবেষণাগার (ফেনোমিয়া ল্যাব) এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাত মোকাবেলায় জিন প্রযুক্তি ব্যবহার ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খুব স্বল্প সময়ে নতুন জাত উদ্ভাবনে প্রযুক্তিগত গবেষণাগারের (ফেনোমিক্স  ল্যাব) কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.