জলঢাকায় অগ্নিকান্ডে ১৯টি পরিবারের ৬৫টি ঘর পুরেছাই ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর বেরুবন্দ এলাকায় অগ্নিকান্ডে ১৯টি পরিবারের প্রায় ৬৫ টি ঘর ও ছাগল, হাস, মুরগী, আসবাবপত্র, নগদ টাকাসহ সর্বস্ব আগুনে পুরে ছাই হয়েছে। এছাড়াও আগুন আতঙ্কে ৭টি পরিবারের ঘরবাড়ী ভেঙে ফেলা হয়।
এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটে শিমুলবাড়ী বেরুবন্দ এলাকার এ ঘটনাটি ঘটে।
জলঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানায়।
অগ্নিকান্ডে ঘর ও ছাগল, হাস, মুরগীসহ সর্বস্ব পুরে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হচ্ছে, ভোলানাথ পিতা মথুরা বর্মন, মনিভুষন পিতা ভোলানাথ, চিত্র পিতা ভোলা, সত্যেন্দ্র পিতা হাগুরা, বিধান পিতা সত্যেন্দ্র, নগেন্দ্র পিতা নবকুমার, হরলাল পিতা কৈলাশ, অনাথ পিতা কৈলাশ, কবিতা স্বামী মৃত রনজিৎ রায়, সুচী স্বামী মৃত রনজিৎ, প্রেম বালা, জগত পিতা নৃপেন, শৈলেন পিতা নৃপেন, দয়াল পিতা নৃপেন, হরিদাস পিতা হরলাল, নিত্যানন্দ পিতা হরলাল, নারায়ন পিতা হরলাল, সুবোধ পিতা অনাথ, বিকাশ পিতা অনাথ, এছাড়াও  আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৭টি।
রাতেই জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মাহবুব হাসান ঘটস্থল পরিদর্শন করে কম্বল বিতরন করেন ও ক্ষতিগ্রস্থদের সহমর্মিতা প্রদান করেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কে নগদ ১ হাজার টাকা করে প্রদান করেন, ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবার কে নগদ তিন হাজার টাকা ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারকে দুই হাজার টাকা সহ শুকনো খাবার সহ একটি করে ত্রানের প্যাকেট প্রদান করেন। পরবর্তীতে সরকারি আরো সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর ও ইউএনও মাহবুব হাসান সমাজের বিত্তবানদের অসহায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ গুলোকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি এরশাদ আলম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.