চুয়াডাঙ্গায় সেপটি ট্যাঙ্কে নেমে যুবক যুবতীর মর্মান্তিক মৃত্যু 

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটি ট্যাঙ্কের পানি পরিষ্কার করতে নেমে গৃহকর্তার মেয়ে ৯ ম শ্রেণীর ছাত্রী আসমা খাতুন (১৬) ও দোকান কর্মচারি হাসিবুল ইসলামের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ার এরশাদুল ইসলামের বাড়িতে । বড়ির একাংশে নতুন করে নির্মাণ করছেন সেপটি ট্যাঙ্ক। দু’দিন পানি ওই ট্যাঙ্কে জমে।
এরশাদুল ইসলামের মেয়ে আসমা খাতুন পানি পরিষ্কার করতে নিচে নামে। ট্যাঙ্কে নেমে আর উঠছে না দেখে তাকে তুলতে ওই ট্যাঙ্কে নামে দামুড়হুদার নতিপোতা ইউনিয়নের কালিয়াবকরী গ্রামের মৃত মত লেব আলীর ছেলে দোকান কর্মচারী হাসিবুল ইসলাম (২৬)। দুজনে সাড়া না পেলে স্থানীয়রা কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির পুলিশ ও দর্শনা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
দমকলের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ট্যাঙ্ক পর দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্ত হাফিজুর রহমান বিটিসি নিউজের প্রতিবেদককে জানান, সেফটি ট্যাঙ্কে বিষক্ত গ্যাস তৈরি হয়।
ওই গ্যাসের কারণ সেখানে অক্সিজেন থাকে না। নিচে নেমে দম বন্ধ হয়ে মারা যায়।
এক্ষেত্রেও তেমনটিই ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিষয়ে আসমার নিকট আত্নীয় বাদী দামুড়হুদা মড়েল থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.