চীনা কূটনীতিক বহিষ্কার করছে কানাডা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক চীনা কূটনীতিক বহিষ্কার করছে কানাডা। দেশটির বিরোধী দলের এক আইনপ্রণেতাকে ভীতিপ্রদর্শন ও হুমকি দেয়ার অভিযোগে ঝাও ওয়ে নামে এক কূটনীতিকের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
সোমবার (০৮ মে) এক বিবৃতিতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলেনি জলি বলেন, কূটনীতিক ঝাও ওয়েকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে কানাডা সরকার।
জলি আরও বলেন, ‘আমার কথা স্পষ্ট। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ আমরা সহ্য করব না। কানাডায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের সতর্ক করা হয়েছে, তারা যাদি এ ধরনের আচরণের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে তাদের নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে।’
তবে চীনা সরকার কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। গত সপ্তাহে দেশটির কর্মকর্তারা বলেন, ‘এমনটা করার ক্ষেত্রে তাদের স্বার্থ নেই।’
সোমবার (০৮ মে) কূটনীতিক বহিষ্কারের নিন্দা করে অটোয়ার চীনা দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। নিজিদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, বেইজিং কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে কানাডীয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গ্লোব অ্যান্ড মেইল ​জানায়, কানাডার বিরোধী দলীয় রাজনীতিক মাইকেল চং-কে টার্গেট করেছে চীন সরকার।
শিংজিয়াংয়ের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি চীনের আচরণ গণহত্যার সামিল অভিহিত করে ২০২১ সালে কানাডার পার্লামেন্টে এমন একটি প্রস্তাব তোলা হয়। এরপরই চীন সরকার তাকে টার্গেট করে।
গ্লোব অ্যান্ড মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিং চং-এর আত্মীয়দের সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল যারা হংকংয়ে চীনা সীমান্তে বসবাস করে। ওই প্রতিবেদনের পর চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে একটা চাপের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরকার। (সূত্র: আল জাজিরা)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.