চীনকে ঠেকাতে তিন দেশের নয়া কৌশল

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সাবমেরিন সরবরাহ চুক্তি ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। এমনটি জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
তিনি বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সাথে চুক্তি চীনের সামরিক তৎপরতার আতঙ্ক এবং অস্ট্রেলিয়ায় পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিন সরবরাহ ওই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার হুমকি হ্রাস করবে।
চুক্তি সম্পর্কে জনসন পার্লামেন্টে বলেন, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের একটি নতুন প্রতিরক্ষা জোটের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, ‘কারো বিরোধীতা বা সংঘাতের জন্য এটি করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এটি ভারত ও প্রশান্তমহাসাগরীয় বাহিনী শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবে।’ এই চুক্তি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে এবং এটি আমাদের মূল্যবোধের অংশীদারিত্ব ও দৃঢ় আস্থার ওপর প্রতিষ্ঠিত।
সরকারের বৈদেশিক ও প্রতিরক্ষা নীতির সমন্বিত পর্যালোচনার অংশ হিসাবে মার্চ মাসে এশিয়ার দিকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের পুরোপুরি বেরিয়ে আসার পরে এশিয়ার দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়। জনসন স্বীকার করেছেন, এই অঞ্চলটি ‘ভূ-রাজনৈতিকভাবে’ বিশ্বের কেন্দ্র হয়ে উঠছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় জনসন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ত্রি-পক্ষীয় প্রতিরক্ষা চুক্তি এইউকেইউএস (অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) এর ঘোষণা দেন।
এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব এবং বিশাল সামরিক বিস্তারে পশ্চিমাদের উদ্বেগ হিসাবে দেখা হচ্ছে।
বেইজিং ভিত্তিক সেন্টার ফর চায়না অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশন থিন-ট্যাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হেনরি ওয়াং বিবিসি রেডিওকে বলেছেন, নতুন প্রতিরক্ষা জোট ‘একটি শীতল যুদ্ধের মানসিকতার অংশ।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.