চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতারকৃত রাজশাহীর দুই কলেজের ছাত্রলীগ নেতা নাঈম ও আসাদ কারাগারে

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীতে কোচিং সেন্টারের পরিচালকের কাছে থেকে চাঁদা দাবি ও ভাংচুরের মামলায় রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাঈম ও সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আসাদকে গ্রেফতার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।

আজ বুধবার (২৬শে ফেব্রুয়ারী) ২০২০ ইং পৃথক পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদের মধ্যে নাইমুল হাসান নাঈমকে রাজশাহী মহানগরীর সিএনবির মোড় এলাকা থেকে এবং আসাদকে রাজশাহী সিটি কলেজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন।

ওসি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, কোচিং পরিচালকের থেকে চাঁদা দাবি এবং ভাংচুরের ঘটনায় গত রোববার থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এর পরে গতকাল মঙ্গলবার (২৫শে ফেব্রুয়ারী) দুপুরে মামলা হয়েছে, মামলায় রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাঈম, আসাদ ও মারুফ এই মামলার আসামি।

এছাড়াও অজ্ঞাত তিন আসামিও রয়েছে, মামলাটির বাদি রাজশাহী মহানগরীর সোনাদিঘীর মোড় এলাকার ইউনি কেয়ার কোচিং সেন্টারের পরিচালক রায়হান হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাঈম, আসাদ ও মারুফসহ আরো বেশ কয়েকজন কোচিং সেন্টারটির কাছে হতে দীর্ঘদিনের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।

এর আগেও তারা বিভিন্ন ভাবে এই প্রতিষ্ঠানটির কাছে থেকে চাঁদা আদায় করেছেন। কিন্তু এবার চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় গত রোববার রাত ৮টায় নাইম ও তার অনুসারীরা কোচিং সেন্টারে ভাংচুর করেন।

এ বিষয়ে কোচিং সেন্টারের পরিচালক রায়হান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, গত বৃহস্পতিবার আসাদ ও মারুফ এসে ৩০০০/- (তিন) হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। সেদিন তারা কোচিং এর জানালা, টেবিল, চেয়ার ভাংচুরের পাশাপাশি এক কর্মচারীকে মারধরও করে।

এরপর গত রোববার আবার তারা চাঁদা দাবি করে, তখন আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাই।

নাইম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানায় টাকা না দিলে কোচিং ভাংচুর হবে। তার কথার প্রেক্ষিতে আমিও বলি যে এবার ভাংচুর করতে এলে আমিও প্রতিহত করার ব্যবস্থা নেব।

কিন্তু গত রোববার আমার অনুপস্থিতিতে কোচিংয়ের গেইট ভাংচুর করে যায় নাইম, আসাদ ও মারুফসহ অনেকেই। পরে আমি বোয়ালিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি, তার প্রেক্ষিতেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন প্রশাসন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.