চাঁদরাতে মেহেদি দিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার শিশুর ২ আসামী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ভোলা প্রতিনিধি:  চাঁদরাতে বাড়ির পাশে আত্মীয়ের বাড়িতে হাতে মেহেদি লাগাতে গিয়ে ১২ বছরের শিশুর গণধর্ষণকারী দুই ধর্ষক পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ভোলা সদর উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন: সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে আল আমিন (২৫) ও কামাল মিস্ত্রির ছেলে মঞ্জুর আলম (৩০)। তারা দুজনই ওই শিশু গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি ছিলেন।

এর আগে ঈদের আগের দিন গত রোববার রাতে ভোলার সদর উপজেলায় ওই শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করা হয়েছে।

ভোলা মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শিখর বিটিসি নিউজকে জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজাপুরে নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার আসামীদের ধরতে যায পুলিশ। এ সময় আসামীরা উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামী নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালে রাখা রয়েছে।

শিশুটির পরিবারে সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাত ৮টার দিকে প্রতিবেশী ও দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে হাতে মেহেদি লাগানোর জন্য যায় শিশুটি। এ সময় ওই প্রতিবেশীর ভাড়াটে আল আমিন শিশুটিকে ‘কথা আছে’ বলে নিজের ঘরে ডেকে নেন। সেখানে উপস্থিত ছিল তার বন্ধু মঞ্জু। স্ত্রী ঘরে না থাকার সুযোগে শিশুটির হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। শিশুটির গোঙানির শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

অবস্থার অবনতি ঘটলে গত সোমবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.