গ্রেপ্তারের ভীতি সত্ত্বেও মিয়ানমারে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

(গ্রেপ্তারের ভীতি সত্ত্বেও মিয়ানমারে লাখো মানুষের বিক্ষোভ–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গ্রেফতার এবং নির্যাতনের ভীতি সত্ত্বেও মিয়ানমারে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শহরে মিছিলে অংশ নিয়েছে লাখো মানুষ।
গতকাল রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) নবম দিনের মতো বিক্ষোভকারীরা সেনা শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। দেশটির অনেক ট্রেন স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ হয়েছে জাপানেও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে ঠিকমতো সেবা দেয়—সেজন্য চেষ্টা চালাচ্ছে সামরিক জান্তার সরকার। কিন্তু তারপরও তাদের সবাইকে কাজে যোগ দেওয়ানো সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুেকন্দ্রগুলোতে সেনা মোতায়েন করা হলেও তারা সেখানে প্রতিবাদের মুখে পড়েছে।
গতকাল রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে সেনাবাহিনী ট্যাংক মোতায়েন করে। গত পহেলা ফেব্রুয়ারী সেনা অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম এই ধরনের সশস্ত্র যান মোতায়েন করা হলো।
অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে প্রথমে চিকিত্সকরা প্রতিবাদ শুরু করেন। কিন্তু এখন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী সরকারি চাকরিজীবীদের নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। তাদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। রাতে গণহারে গ্রেফতারও করা হচ্ছে।
গত শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সরকার সেনাবাহিনীকে আটক এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে তল্লাশি চালানোর ক্ষমতা দিয়েছে। গতকাল রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) ইয়াঙ্গুনে ট্রেন সার্ভিস বন্ধ করে দেয় কর্মচারীরা। সেখানে তাদের দমনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে পুলিশ সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়।
উত্তরের কাচিন প্রদেশে বিদ্যুেকন্দ্রে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানেও প্রতিরোধের মুখে পড়ে সেনাবাহিনী। কর্মকর্তাদের ধারণা, সেনাবাহিনী রাতে গণহারে গ্রেফতার করতে বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে।
স্থানীয় এক নেতা জানিয়েছে, সেনাবাহিনী বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে রাতে ব্যাবসায়িক কার্যক্রম চালানোর সময় গ্রেফতার করতে পারে।
ইয়াঙ্গুনে বিভিন্ন বিদ্যুত্ বিভাগের কর্মকর্তারা ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী তাদের বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। কিন্তু তারা সেটি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা বরং বিক্ষোভকারীদের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। সরকার এবং সেনাবাহিনী কেউই এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
এদিকে জাপানের রাজধানী টোকিওতেও বিক্ষোভ করেছে অং সান সু চির সমর্থকরা। ৪ হাজারের বেশী বিক্ষোভকারী এতে অংশ নেয়। (সূত্র: রয়টার্স)। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.