গাইবান্ধা সদরসহ ফুলছড়ি উপজেলার বন্যাদুর্গতদের মাঝে জেলা প্রশাসকের ত্রাণ বিতরণ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: আজ ২৬ জুলাই শুক্রবার সকাল থেকে  বাংলাদেশ এক্সটেনশন এডুকেশন সার্ভিসেস (বিজ) এর আয়োজনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার  দক্ষিন ধানঘড়ায় বিজ কার্যালয়ে থানসিংপুর, খামারচান্দের ভিটা, কিসামতবালুয়া,নারায়নপুর, খোলাবাড়ী, উত্তর ধানঘড়া, রাধাকৃষ্ণপুর, বাটিকামারি, কাইকাপ্রসাদ, কলেজপাড়া, বোর্ড বাজার ও চকমামরোজপুর গ্রামের ৮০০টি বন্যার্ত পরিবারের মাঝে চিড়া, গুড়, পানি, ঔষধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়। অপরদিকে জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের মশামারী গ্রামে রংপুর বিভাগ সমিতি, ঢাকার আয়োজনে ৪০০টি বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী হিসেবে চাল, শুকনো খাবার, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট করেন এবং কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের নদী ভাঙণ ও বন্যায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ কেতকির হাট গ্রামে ৩০০ টি বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী হিসেবে চাল, শুকনো খাবার, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট  বিতরণ করেন।

এদিকে  উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি পূনঃরায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গত ৩৬ ঘন্টায় বহ্মপুত্রের পানি ১৪ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৭ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি ৭ সে.মি.বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ইতোপূর্বে বন্যা কবলিত যে সমস্ত এলাকা থেকে পানি সরে গিয়েছিল সে সমস্ত এলাকা সহ নতুন নতুন এলাকায় আবারো বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে দ্বিতীয় দফায় বন্যায় মানুষের চরম র্দুভোগ দেখা দিয়েছে।সেই সাথে বেড়েছে পানিবাহিত রোগ ।

গাইবান্ধা জেলা সিভিল র্সাজন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ বিটিসি নিউজকে জানিয়েছেন,জেলা সদর সহ সাত উপজেলার ৫১ টি ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকায় ১০৯টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষনিক মানুষের চিকিৎসা সেবায় কাজ করছে। বন্যায় অনেক এলাকায় নানা প্রকার পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।বিশেষ করে ডায়রিয়া,আমাশা,মাথা ব্যথা,চর্মরোগ,হাতে-পায়ে ঘা, এলার্জি,জ্বর,সর্দি,কাশি।

এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্ভরযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার সাত উপজেলার ৫১টি ইউনিয়নের ৪২৪টি গ্রাম ও ২ টি পৌরসভার প্রায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৯ হাজার ৮৭০ টি। ভয়াবহ বন্যায় ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৯ হাজার ৮৭০টি। দুর্গত এলাকার বেশীর ভাগ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ী ছেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ,উচুঁস্থান সহ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সরকারী ভাবে জেলায় ১৯৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অপর দিকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে পানি সড়ে গেলেও কাঁদা ও ময়লা পানির জন্য বাড়ী ঘরে যাওয়ার কোন উপয় নেই ।বন্যার পানি সড়ে যেতে না যেতেই আবারো নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি ফলে বন্যায় নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

জেলায় এপর্যন্ত পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা-১২। বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা কবলিতদের দুর্ভোগ চরমে। ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.