জোড়া গোলে মিউনিখে বায়ার্নকে রুখে দিলেন ভিনিসিয়ুস

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রুস-ভিনিসিয়ুসে ম্যাজিকে গোটা মিউনিখ স্তব্ধ করে এগিয়ে গেল রিয়াল। প্রথমার্ধের ধারহীন বায়ার্ন দ্বিতীয়ার্ধে ছিল উজ্জীবিত ফুটবল। পাঁচ মিনিটেই দুইবার প্রতিপক্ষের যারে বল পাঠিয়ে নেয় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় জার্মান জায়ান্টরা। তবে শেষে ডিফেন্ডারের মারাত্মক ভুল,আর স্পটকিকে ফের নিখুঁত ভিনিসিয়ুস। রোমাঞ্চকর দুই রাতের প্রথম পর্বটা শেষ দুই দলই সমান।
আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লীগ হাইভোল্টেজ সেমিফাইনালের প্রথম রাউন্ড শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়।জোড়া গোল করে ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখকে রুখে দেওয়ার নায়ক ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বায়ার্নের দুই গোলদাতা লেরয় সানে ও হ্যারি কেইন।
চলতি মৌসুমে এ নিয়ে মাঠে নামা ১১ ম্যাচের কোনটিতে এখনো হারের মুখ দেখেনি কার্লো আনচেলেত্তির শিষ্যরা।
ঘরের মাঠে বায়ার্ন প্রথম থেকে ইতিবাচক ফুটবল খেলার চেস্টা করেছিল। দু’একটি ভালো সুযোগ তৈরী করলেও একচেটিয়া আধিপত্য করতে পারেনি।প্রথম মিনিটে জোরাল শটে রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিনকে পরাস্ত করতে না পারা লেরয় সানে ২০ তম মিনিটে গোলের একটি সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন নি।মাঝে ব্যর্থ হয়েছেন কেইনও।
বায়ার্নের আক্রমণের চাপ সামলে ২২ তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণে এগিয়ে যায় রিয়াল। গোলদাতা হিসেবে স্কোরশিটে ভিনিসিয়ুসের নাম থাকলেও এতে বড় অবদান টনি ক্রুসের। মাঝমাঠ থেকে এই রিয়াল মিডফিল্ডারের হঠাৎ নেওয়া ডিফেন্স ছেড়া পাসটি ছিল অনেকদিন মনে রাখার মত। যেই নিখুঁত পাস চার-পাঁচ বায়ান খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়ে পৌছে যায় বক্সের সামনে থাকা ভিনির কাছাকাছি। দ্রুত বক্সে ছুটে গিয়ে ক্রুসের বাড়ানো সেই পাসে প্রথম ছোঁয়ায় নেওয়া নিচু শটে বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।সেই গোলের পর রক্ষণাত্মক খোলস থেকে বেরিয়ে এসে রিয়াল। তবে সেভাবে সুযোগ তৈরী করতে পারেনি
অন্যদিকে প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশ্যে সাত শট নিলেও এর বেশিরভাগেই লুনিনকে কোন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি বায়ার।ন। ফলে পিছিয়ে থেকে বিরিতে যায় টমাস টুখেলের দল।
তবের বিরতির পরই পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। আক্রমণে ধার বাড়িয়ে মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে এগিয়ে যায় স্বাগতিকেরা।
৫৩তম মিনিটে অসাধারণ এক গোলে সমতা টানেন সানে। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাস ধরে এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে জোরাল শট নেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড। তার বা পায়ের বুলেট গতি শট আটকানোর কোন সুযোগই পাননি লুনিন।
সেই গোল হজমের পর যেন ছন্দ হারায় রিয়াল।চার মিনিট পরেই দিয়ে বসে পেনাল্টি। বক্সের ভেতর জামাল মুসিয়ালাকে লুকাস ভাসকেজ ফাউল করলে পেনাল্টির বাশি বাজান রেফারি। লুনিনকে বোকা বানিয়ে নিখুঁত স্পটকিক দলকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেইন।
এ গোলে বায়ার্নকে এগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতাও হন কেইন। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৮টি করে গোল করেছেন কেইন ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।
বায়ার্নের জার্সিতে চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কেইনের গোল হলো ৪৩টি।
এগিয়ে যাওয়ার এরপর ম্যাচে দাপট দেখায় স্বাগতিকেরা। ব্যবধান দ্বিগুণ করার আশায় চেপে ধরে রিয়ালকে। একাধিক দারুন সুযোগ তৈরি করলে অবশ্য সেই গোল আর পায়নি স্বাগতিকেরা। উল্টো ৮৩ মিনিটে
নিজের দ্বিতীয় গোল করে চাপে থাকা রিয়ালকে সমতায় ফেরান ভিনিসিয়ুস। বক্সে আরেক ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগোকে ডিফেন্ডার কিম মিন-জায়ে ফাউল করলে পেনাল্টিটি পায় সফরকারীরা। স্পট কিক থেকে জাল খুঁজে নিতে কোন ভুল করেননি ভিনি।
প্রথম লেগ ড্রয়ের পর দুই দলে এখন সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়ে ফিরতি লেগে মাঠে নামবে। ঘরের মাঠে ৮ ই মের সেই দ্বৈরথে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ড্র নিয়ে ফেরার আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে রিয়াল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.