গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার সাদুল্ল্যাপুর থানার জিডি মূলে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের অপহরন এবং অপহৃত কিশোরের বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা এলাকায় অবস্থানের সংবাদে তাৎক্ষনিক উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ছিলো মিথ্যা দিয়ে সাজানো ও লোভের কাহিনী।
বগুড়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার মহোদয়ের নির্দেশে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরীর নির্দেশনায়, ডিবি বগুড়া’র ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাকের তত্তাবধায়নে পুলিশ পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বে এসআই শওকত আলম ও ফোর্সসহ গত (১৭/০২/২০২১) বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন বগুড়া টু ঢাকাগামী বনানী বাসষ্ট্যান্ড এর সামনে বিকাশের দোকান হইতে অপহৃত কিশোরকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার অভিযান শেষে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, তার বাসা গাইবান্ধা জেলার সাদুল্ল্যাপুর থানাধীন নিজপাড়া গ্রামে কিন্তু তার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে বর্তমানে তার মামার বাসায় থেকে লেখাপড়া করে আসছে। কিন্তু তার মাথায় কু-বুদ্ধি আসে তার সহপাঠিদের হাতে স্মার্টফোন দেখে। আর তাতেই সাজিয়ে ফেলে এক ভয়ংকর মিথ্যে নাটক।
সে আরো জানায় গাইবান্ধা জেলার তার মামার বাসা থেকে বের হয়ে গত ১৬/০২/২০২১ ইং তারিখে বাস যোগে বগুড়াতে এসে বগুড়া সদর থানাধীন বাঘোপাড়া একটি চায়ের দোকানে রাত্রীযাপন করে তারপর সকালে উঠে চলে আসে শাজাহানপুর থানাধীন বনানী বাসস্ট্যান্ডে। অপর দিকে তার মা, মামাসহ অনেকেই ছুটে যায় নিক্টস্থ সাদুল্ল্যাপুর থানায় করেন নিখোঁজ সংক্রান্তে সাধারন ডায়েরি।
তার কয়েকঘন্টা পরে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বার হতে তার মায়ের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে জানায় চারজন মুখোশ পরা লোক তাকে অপহরণ করে একটি বাসায় আটকে রেখেছে, তাকে খুব মারধোর করছে আর ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা না দিলে তাকে জানে মেরে ফেলবে বলেই ফোন কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেয়।
এর কিছুক্ষন পরে আবার ফোন দিয়ে জানায় ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে এবং আরো জানায় টাকাটা পাঠাতে হবে তার নিজের ব্যবহৃত মোবাইলের নগদ একাউন্টে বলেই তার ফোন আবার বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান সনাক্ত করে পুলিশ ছুটে চলে ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টায়।
এদিকে ভিকটিমের ফোন হতে কিছুক্ষণ পরপর ম্যাসেজ করতে থাকে আগামী ৩০ মিনিটের মধ্যে টাকা পাঠাতে হবে, আর মাত্র ১৭ মিনিট বাকি এবং ম্যাসেজ শেষেই ফোন বন্ধ এতে করে বড় ধরনের বিভ্রান্তিতে পরতে হয় পুলিশের টিমকে। তাই বগুড়া জেলা পুলিশের দলটি অবলম্বন করে ভিন্ন কৌশলের যার ফলে বনানী বাসস্ট্যান্ডের সামনের একটি বিকাশের দোকানের সামনে হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
সে আরো জানায় স্মার্ট ফোন কেনার টাকার জন্যই সে নিজেকে মিথ্যে অপহরণের নাটক সাজিয়ে তার মায়ের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে চেয়েছিল। যে নাটকের শেষ পরিনতি হয় একদল পুলিশের ঘাম-ঝরানো পরিশ্রমের কারণ। পরবর্তীতে ভিকটিমকে উদ্ধার শেষে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্ল্যাপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.