গঙ্গাচড়ায় তিস্তা সড়ক সেতুর নাম হবে শেখ হাসিনা তিস্তা সড়ক সেতু

 

রংপুর ব্যুরোরংপুরের গঙ্গাচড়া এবং লালমনিরহাােটর কালিগঞ্জের সীমান্তে অবস্থিত মহিপুর-কাকিনা তিস্তা সড়ক সেতুটির নাম হবে শেখ হাসিনা তিস্তা সড়ক সেতু। আগামী মাসে এটির আনুষ্ঠান্কি উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত সেতুটির ওপর দিয়ে কোন বাস ট্রাক, ট্যাংকলরি চলাচল করবে না। বসানো হবে পুলিশ চেক পোস্ট। স্থাপন করা হবে সিসি ক্যামেরা। ওজন পরিমাপের যন্ত্র বসানো হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর ডিসির হলরুমে মহিপুর-কাকিনা তিস্তা সড়ক সেতুর দীর্ঘস্থায়ী করণে ওভার লোডিং ও ভারি যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সভায় এই তথ্য জানানো হয়। রংপুরের ডিসি এনামুল হাবীবের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ এর অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল মজিদ, লালমনিরহাটের ডিসি শফিউল আরিফ, রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার রশিদুল হক, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আখতার হোসেন, এলজিইডি রংপুরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একেএম হারুন অর রশিদ, নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদুর রহমান, বিআরটিএ এর উপ-পরিচালক শহিদুল্লাহসহ, এলজিইডি লালমনিরহাটের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সামসুজ্জামান, রংপুর ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সেক্রেটারী শাহিদুল ইসলাম মানিক, রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সড়ক সম্পাদক মোতালেব হোসেন বাদল প্রমুখ।

সভায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা সড়ক সেতুটির নাম মেখ হাসিনা তিস্তা সড়ক সেতুর রাখার প্রস্তাব করেন। সভায় উপস্থিত সবাই প্রতিমন্ত্রীর সাথে সেতুটির নাম শেখ হাসিনা সড়ক সেতু হিসেবে নামকরণ করার জন্য একমত পোষন করেন। জুলাই মাসের যে কোন দিন সড়কটির উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী সরাসরি এসে সেতু উদ্বোধন করতে না পারলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন বলেও জানানো হয়।

১২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মান করা হয়। এই সেতুটি নির্মানের ফলে রংপুর থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর যেতে ৩০ কিলোমিটার পথ কমে যাবে। সেতুর উপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন হাজিরহাট হয়ে চলাচল করবে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.