খেজুর

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: গাছটি মরু অঞ্চলে ভালো জন্মায়। সাধারণত গাছ লাগানোর চার থেকে আট বছর পরে খেজুরগাছে ফল জন্মায়। প্রাপ্তবয়স্ক গাছে প্রতি মৌসুমে গড়ে ৮০ থেকে ১২০ কিলোগ্রাম (১৭৬-২৬৪ পাউন্ড) ফল পাওয়া যায়।
ফল দেখতে ডিম্বাকৃতি, যার দৈর্ঘ্য ৩ থেকে ৭ সেন্টিমিটার এবং ব্যাসার্ধ ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। জনপ্রিয় খেজুরের জাতের নাম আজওয়া, মারিয়াম, আনবারা, সাগি, সাফাওয়ি, মুসকানি, খলাস, ওয়াসালি, বেরহি, মাবরুম ইত্যাদি।
ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ অত্যন্ত সুস্বাদু ফল, যা রক্তে শর্করা বাড়ায়। শরীরে শক্তি সঞ্চার করতে সাহায্য করে। খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা মানব মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে। একটি খেজুরে ৮০ শতাংশই চিনি জাতীয় উপাদান। বাকি অংশ বোরন, কোবাল্ট, ফ্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম ও জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান।
খেজুরের পুষ্টিগুণ ক্যান্সার প্রতিরোধ, দুর্বল হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, মুটিয়ে যাওয়া রোধ, হাড়ের দৃঢ়তা বৃদ্ধি, অন্ত্রের গোলযোগ দূর, কোষ্ঠকাঠিন্য ও যকৃতের সংক্রমণ রোধসহ মানবদেহের নানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মিশর, ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, সুদান, ওমান, লিবিয়া খেজুর উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.