খুলনায় করোনা স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৩ জনের মৃত্যু, উপসর্গে একজন,শনাক্ত ১১২জন


খুলনা ব্যুরো: করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের রেডিওগ্রাফার মো: বাবর আলী(৫১)।
আজ সোমবার (২৯ জুুন)  সন্ধ্যায় খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে সোমবার খুলনা করোনা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তিন জন করোনা রোগীর।
অপর দু’জন হলেন, ফুলতলার আনোয়ারা(৮৫) এবং দোলখোলার সমর দাস(৬৭)। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রানিয়া বেগম(৮০)।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সমন্বয়কারী ডা: শেখ মো: ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, রেডিওলজি বিভাগের প্রথম করোনা যোদ্ধা মো: বাবর আলী গত ১৭ জুন করোনার উপসর্গ নিয়ে খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ওইদিন তার নমুনা নিয়ে পরদিন পরীক্ষা করা হলে ফলাফল পজেটিভ আসে।
অর্থাৎ ১৮ জুন তার করোনা শনাক্ত হলে পরদিন ১৯ জুন তাকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে রাখা হয়। দীর্ঘ ১০দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রাতে তার মৃত্যু হয়। রেডিওগ্রাফার মো: বাবর আলীর দু’স্ত্রী, চার পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তার গ্রামে বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা এলাকায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাবর আলীর লাশ গ্রামের বাড়ি নেয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
এছাড়া খুলনা করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোয়া ছয়টায় মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত ফুলতলার যুগ্নিপাশা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারা(৮৫) নামের এক নারীর। গত ২৬ জুন তিনি করোনা পজেটিভ হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন।
সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন নগরীর দোলখোলা শীতলাবাড়ি এলাকার সমর দাস(৬৭) নামের এক ব্যক্তি। গত ২৩ জুন তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন।
বর্তমানে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রায় ৯০ জন রোগী রয়েছে বলেও হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়।
এদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার  সন্ধ্যায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়।
তার নাম রানিয়া বেগম (৮০) এবং নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন ছোট বয়রা এলাকার বাসিন্দা।  সকাল ১০টার দিকে তিনি শারিরীক দুর্বলতা নিয়ে খুমেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
পরে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে করোনা সন্দেহ ওয়ার্ডে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা: মুন্সী মো: রেজা সেকেন্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায়  ২৮২টি নমুনা পরীক্ষার পর ১১২জনের করোনা শনাক্ত হয়। যার মধ্যে শুধুমাত্র খুলনারই ১০৯জন রয়েছেন। বাকী তিনজন নড়াইল, কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরার একজন করে। খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.