খুলনা ব্যুরো: খুলনায় করোনা চিকিৎসায় ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের দাবীতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর ইমেইলের মাধ্যমে খুলনা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আজ সোমবার (১২ জুলাই) বেলা ১টায় স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক খুলনা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাড. আ ফ ম মহসীন এবং সদস্য সচিব অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার এ স্মারকলিপি প্রেরণ করেন।
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা সমন্বয়কারী মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাসদ খুলনা জেলা সমন্বয়কারী জনার্দন দত্ত নাণ্টু, সাংবাদিক এইচ এম আলাউদ্দিন, আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরামের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি এস এম দেলোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা, সন্তান ও প্রজন্ম কল্যাণ সমবায় সমিতি লিঃ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রোটাঃ আলহাজ্ব হোসাইন মোঃ ইউছা ওয়ায়েজ আর রাফী নাজু, সিপিবি নেতা এস এম চন্দন, যুব ইউনিয়ন নেতা আফজাল হোসেন রাজু, নতুনতাঁরা’র প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক কবি সাইফুর মিনা, অ্যাড. আ ফ ম মুক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, চলমান করোনা মহামারী খুলনা বিভাগে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুলনায় করোনা চিকিৎসায় শয্যা, অক্সিজেন, জনবল ইত্যাদি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষে আপনি ৫টি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের ঘোষণা প্রদান করেছেন।
ভৌত অবকাঠামোগত সংকট বিবেচনায় খুলনায় অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় সংখ্যক শয্যাবিশিষ্ট ফিল্ড হাসাপাতাল স্থাপন অত্যন্ত জরুরী। অন্যথায় বিদ্যমান সংকট মোকাবেলা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। ইতোপূর্বে করোনা পরিস্থিতিতে খুলনা অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও প্রথমে শুধুমাত্র ঢাকায় এবং পরবর্তীতে খুলনায়ও ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের ঘোষণা প্রদান করেছেন, যা খুলনাবাসীর মনে প্রাণের সঞ্চার করেছে।
সীমান্তবর্তী জেলা এবং ২টি স্থল বন্দর ও ১টি সমুদ্র বন্দর দ্বারা পরিবেষ্টিত খুলনায় পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, নড়াইল, যশোর, সাতক্ষীরাসহ আশপাশের জেলার করোনা রোগীদের চিকিৎসা খুলনাতেই হয়। এমতাবস্থায় যাচাই-বাছাইপূর্বক খুলনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শয্যাবিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল অনতিবিলম্বে স্থাপনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আপনার সদয় সুদৃষ্টি কামনা করা হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.