খুলনাঞ্চলে তাপদাহে ওষ্ঠাগত জীবন

 

খুলনা ব্যুরো: প্রায় সবার মুখেই এখন একটাই কথা ‘গরমে মরে গেলাম।’ জীবন যেনো এখনই বের হয়ে যায়, এখনই মাথা ঘুরে পড়ি, গায়ের চামড়া পুড়ছে, ঘাম ঝরছে। পনি পান করে তৃষা মিটছে না। খাবারে অরুচি, পেটের সমস্যা এমন নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে চরম গরমে। বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস কাজে আসছে না। গাছের ছায়ায়ও প্রশান্তি মিটছে না। কেবলমাত্র শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষই যেনো সাময়িক প্রশান্তির জায়গা। কিন্ত সে সুবিধা খোগ করছে কয়জনইবা। আর এসরি মধ্যে কতোক্ষণ থাকা যায়।

তাই মানুষের মুখে ও প্রাণে কেবলই আকুতি ‘আল্লা মেঘ দে পানি দে..’ । এটা আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচরণেরই প্রভাব। পঞ্জিকার গণনায় এখন আষাঢ় মাস, তাও চারদিন পার হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতি চৈত্রের চেয়েও চরম গরমে খরতাপে পুড়ছে। বর্ষাকালের শুরুতে তাপদাহসহ আবহাওয়ার এমন বৈপরিত্যে বা অস্বাভাবিক আচরণ নজীরবিহীন। তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রির কাছে পৌঁছেছে। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৭ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। অপরদিকে এদিন খুলনায়ও ছিলো ৩৯ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা খুলনাতেও রেকর্ড। নিকট অতীতে এতো দীর্ঘসময় ধরে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিবিহীন আবহওয়া পর্যবেক্ষিত হয়নি।

তবে বিশেষ দিক হচ্ছে গত চারদিন ধরে দেশের মধ্যে খুলনাঞ্চলেই এমন তাপদাহ বয়ে চলেছে। এ সাথে সংলগ্ন গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরও আক্রান্ত হয়েছে। অথচ সোমবার রংপুর বিভাগে, ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে। খুলনায় গত ১০জুনের পর আর বৃষ্টিপাত হয়নি। ফলে আষাঢ় মাসে যে বৃষ্টিপাত প্রায় প্রতিবছরই হয় এবছর তা হয়নি। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পরিস্থিতি আরও দুইএকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এ মহূর্তে যে মেঘমালা আছে তা উত্তরমুখী ও খুলনা উপক’লমুখী হওয়ার আপাতত সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ অবস্থার পরিবর্তনে আরও তিন বা চারদিন সময় লাগতে পারে।
এদিকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে ডায়ারিয়া আক্রন্তের সংখ্যাও।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.