খাবারে প্রতারণার সেই ঘটনায় অর্থ ফেরত পেলেন সাংবাদিক


নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে রাজ ফুড ক্যাসেল এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডার নামে একটি রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবারে ব্রয়লার মুরগিকে হাঁসের মাংস বলে চালিয়ে প্রতারণার ঘটনায় টাকা ফেরত পেয়েছেন অভিযোগকারী সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শুনানি শেষে এ টাকা ফেরত পান তিনি। প্রতিষ্ঠানটির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম অভিযুক্ত রেস্তোরাঁর মালিককে জরিমানা করে ওই সাংবাদিককে ফেরত দেন টাকা।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য উভয়পক্ষকে ডাকা হয়। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে এবং মাংসের প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির মালিক কামরুজ্জামান রুবেলকে জরিমানা করা হয় ৫ হাজার টাকা। এরপর আইন মোতাবেক জরিমানার এক চতুর্থাংশ টাকা পান অভিযোগকারী।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান বলেন, প্রতারণার প্রমাণ ভিডিও ফুটেজসহ গত ২৭ ডিসেম্বর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছিলাম। এক মাস পর হলেও আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেকোনো ভোক্তা প্রতারিত হলে এভাবেই অভিযোগ দেয়া উচিত। এতে ভোক্তার সঙ্গে কেউ প্রতারণার সাহস পাবে না। স্বচ্ছতা থাকবে সকল প্রতিষ্ঠানে।
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর নাচোলের বিখ্যাত আলপনা বাড়ি ঘুরতে গিয়ে ফেরার পথে রাজশাহীর সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমানসহ ৬ গণমাধ্যমকর্মী নাচোলের ওই রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খেতে বসেন। এ সময় ভাতের সঙ্গে হাঁসের মাংস দিতে বলেন তারা। কিন্ত ব্রয়লার মুরগির মাংসকে হাঁস বলে চালিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। মাংস দেখে প্রথমেই সন্দেহ হয় সাংবাদিকদের। পরে তাতে হাত দিলে এবং খেতে শুরু করলে সেগুলো হাঁসের মাংস নয় বলে স্পষ্ট হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি আমানুল্লাহ আমান / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.