ক্যালিফোর্নিয়ায় অপ্রতিরোধ্য আগুনে ৬ জনের মৃত্যু

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুনে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভয়াবহ এই আগুনের পরিধি চারগুণ হয়ে গেছে। এর ফলে উত্তরাঞ্চলীয় ক্যালিফোর্নিয়ার ৩০ হাজার অধিবাসীর প্যারাডাইস টাউন প্রায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। খবর ইউএসএটুডে, বার্তা সংস্থা এপির।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেড় লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এছাড়া মালিবু শহরের মানুষজনদেরও ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি গাড়ির ভেতর পাঁচজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এছাড়া অন্য এক স্থান আরও একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার বন অগ্নি সুরক্ষা বিভাগের ক্যাপ্টেন স্কট ম্যাকলিন বলেছেন, কোনও দমকলকর্মী আগুন নেভানোর চেষ্টা করেনি। তার ভাষায় আগুন এতো ভয়াবহ ছিল যে, আগুন নেভানোর চেয়ে মানুষজনকে ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে সাহায্য করেছে দমকলকর্মীরা। তিনি বলেন, গতকাল সারাদিন উদ্ধারের মুডে ছিল দমকলকর্মীরা।

পুরো শহরকে খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সবাই গাড়িতে করে শহর ছাড়ার চেষ্টা করেন কিন্তু প্রচণ্ড জ্যামের কারণে গাড়ি রেখে পায়েই হাঁটা শুরু করেন অনেকে। আগুনে পুড়ে গেছে ঘরবাড়ি, সুপারমার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, স্কুল এবং অবসর হোম।

প্যারাডাইস শহরে বসবাসকারী একজন পুলিশ কর্মকর্তা মার্ক বাস বলেন, আমরা আগুনের চাদরে মোড়ারাস্তার দুপাশে আগুনের মধ্য দিয়ে আমরা গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছি।

প্যারাডাইস শহরের পাশেরই আরেক শহরের থাকেন কারেন অডি। তিনি বলেন, গ্রাম্য এলাকাগুলোর অবস্থা তুলনামূলক ভালো। অনেক বাড়িতে বহনযোগ্য গ্যাসের ট্যাংক রয়েছে, যা আগুনের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরিত হচ্ছে।

ভয়াবহ এই আগুন থেকে বাঁচতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানো কারেন আরও বলেন, তারা বোমার মতো বিস্ফোরিত হচ্ছিল।

ম্যাকলিন বলেছেন, সান ফ্রান্সিসকোর ২৯০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বের প্যারাডাইস শহরে কয়েক হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, প্যারাডাইস কমিউনিটির প্রায় পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। এটা এমনই বিধ্বংসী ছিল।

রকলিন পুলিশ অফিস জন জি প্যারাডাইসের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ২৪ ঘণ্টায় পুরো একটি শহর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এটা পাগল করা অবস্থা।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.