কেসিসি নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি : সুজন

খুলনা ব্যুরো : খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। কেসিসি নির্বাচনকে অস্বচ্ছ এবং ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন বলেছে, সামগ্রীকভাবে একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে এ নির্বাচনের অনিয়মকে নতুন মডেল হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে সুজনের জেলা ও মহানগর কমিটির নির্বাচন পরবর্তী যৌথ
মূল্যায়ন সভায় বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
নগরীর শেরে বাংলা রোডস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সুজন জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাফর ইমাম জেলা কমিটির সম্পাদক এড’ কুদরত ই খুদার পরিচালনায় সভায় বক্তৃতা করেন মহানগর কমিটির সভাপতি ভাষা সৈনিক আলহাজ্ব লোকমান হাকিম, সম্পাদক অধ্যাপিকা রমা রহমান, বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রঞ্জু, এস এম সোহরাব হোসেন, মহেন্দ্রনাথ সেন, খলিলুর রহমান সুমন, এসকেএম তাছাদুজ্জামান, সিলভী হারুন, ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, সৈয়দ আলী হাকিম, উজ্জল কুমার সাহা, লাকি আক্তার,  গাজী ওয়াহিদুর রহমান, বনানী সুলতানা ঝুমু, শফিকুল ইসলাম অভি, সৈয়দ আলী হাফিজ, খন্দকার খলিলুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম বাদশা প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, কেসিসি নির্বাচনে দৃশ্যমান সহিংসতা এবং ব্যাপক অনিয়ম না ঘটলেও কোন কোন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের জন্য পরিবেশ ছিল ভীতিকর। উপরন্তু বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদান, ভোটারদের ভোট দিতে না দেয়া, ব্যালট পেপারে আগেভাগে সিল মেরে রাখা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টেদের বের করে দেয়া, কোন কোন কেন্দ্রে ৯৭ ও ৯৯ ভাগ ভোট কাস্ট হওয়া-এসব ঘটনা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, নির্বাচনের দিন রাস্তায় পুলিশ-বিজিবি এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃশ্যমান টহল থাকলেও ভোট কেন্দ্রের ভিতরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কর্মকর্তারা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। আগামী নির্বাচন সমূহে ত্রুটিমুক্ত এবং অবাধ করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও বক্তারা মন্তব্য করেন। অন্যথায় আগামীতে নির্বাচনী পরিবেশ আরো ভয়াবহ হবে এবং ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হবে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক কেসিসি নির্বাচন নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি যেসব অনিয়ম পেয়েছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেছে উল্লেখ করে
বক্তারা বলেন, সেই সুপারিশমালা দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান বক্তারা। একই সাথে নির্বাচন সুষ্ঠু  ও নিরপেক্ষ করার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান এসব নাগরিক নেতারা। সভা শেষে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.