কেমন পাত্রী পছন্দ, জানালেন রাহুল গান্ধী

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বয়স ৫২। এখনো ভারতের ‘মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর’ তিনি। কবে বিয়ে করবেন? প্রায় দুদশকের রাজনৈতিক জীবনে বহুবারই এই ব্যক্তিগত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। সব সময়ই এই প্রশ্ন শুনে হেসেছেন সোনিয়াপুত্র।
আবার কখনো বলেছেন, তার জীবনে ‘বিশেষ কেউ নেই।’ কেমন পাত্রী পছন্দ, সে নিয়েও অতীতে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ। 
আবার এই প্রশ্ন করা হলো রাহুলকে। এবার বললেন, ‘মনের মতো পাত্রী পেলেই বিয়ে করব।’ গত মাসে ইউটিউব চ্যানেল কার্লি টেলসকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে প্রথম কোন তিনটি কাজ আগে করবেন তাও খোলাসা করেছেন রাহুল।
গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেছেন রাহুল। এই যাত্রাপথেই নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন রাহুল। গালভর্তি দাড়ি নিয়ে যেমন কখনো আলোচনা হয়েছে, আবার প্রবল শীতেও শুধু টি-শার্ট পরে তার হাঁটাও চর্চিত হয়েছে।
এই আবহে ব্যক্তিগত প্রশ্নেরও মুখোমুখি হয়েছেন রাহুল। কেমন পাত্রী পছন্দ, কয়েকদিন আগেই সে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সাংসদ। আবার সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে সহাস্য জবাব দিলেন রাহুল।
সাক্ষাৎকারে রাহুলের বিয়ে নিয়ে তার মন্তব্য সোমবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছে। সাংসদের উদ্দেশে প্রশ্নকর্তা বলেন, ‘একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করব?’ সম্মতি দেন রাহুল। এর পরই প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করেন, ‘বিয়ের পরিকল্পনা করছেন, নাকি বিয়ে করবেনই না?’ প্রশ্ন শুনেই হেসে ফেলেন রাহুল। বলেন, ‘যখন সঠিক পাত্রী পাব, তখন করব।’
রাহুলের মুখে এ কথা শুনে প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করেন, কেমন পাত্রী পছন্দ, সে নিয়ে কোনো তালিকা রয়েছে? উত্তরে বলেন, ‘না, তবে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। বুদ্ধিমতী কেউ।’
রাহুলের জবাব শুনে হাসতে হাসতে প্রশ্নকর্তা বলেন, ‘মহিলাদের কাছে আপনার এই বার্তা চলে গেল।’ এ কথা শুনে রাহুলের সহাস্য মন্তব্য, ‘ঠিক আছে। আপনি আমায় বিপাকে ফেললেন এবার।’
এর আগে ২০১৮ সালেও একবার এমন ব্যক্তিগত প্রশ্ন শুনতে হয়েছিল রাহুলকে। তার জীবনে বিশেষ কেউ আছেন কিনা, এ নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন প্রশ্নকর্তা। যার জবাব দিতে গিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘আমার জীবনে অনেক বিশেষ মানুষ আছে। আমার মা, বোন, বন্ধুরা।’
রাহুলের এই কৌশলী জবাব শুনে প্রশ্নকর্তা আবার বলেন, ‘একজন বিশেষ কেউ?’ রাহুলের হাসি আরও চওড়া হয়। বলেন, ‘না, বিশেষ কেউ নেই।’
রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী হলে কোন তিনটি কাজ প্রথম করবেন। উত্তরে রাহুল প্রথমে বলেন, ‘কে বলতে পারে, কী ঘটতে চলেছে?’
তারপর বলেন, ‘প্রথমেই শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন করতে চাই। ছোট ছোট ব্যবসায়ী, যারা অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন, তাদের সাহায্য করতে চাই, যাতে তারা স্বাবলম্বী হয়ে অন্যদের সাহায্যে আসতে পারেন। ছোট ব্যবসায়ীরা বড় হচ্ছেন, এটাই এখন ভারতের বিকাশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এটা না হওয়ার জন্যই আমরা এই প্রবল বেকার সমস্যায় মরছি। অল্প মানুষের কাছে বেশি সম্পদ জড়ো হওয়াটা সমস্যার সমাধান করবে না। এটা দ্বিতীয় কাজ।
তৃতীয় কাজ হলো কৃষক, শ্রমিক, বেকারদের রক্ষা। তাদের পাশে দাঁড়াব। তাদের বোঝাব, আপনাদের পাশে সরকার আছে। রাষ্ট্রের কাজ এটাই। দুর্বলকে রক্ষা করা।’ (সূত্র: আনন্দ বাজার)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.