কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইমরান-মোদির মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় নিউইউর্ক পরপর দুই দিন বিবাদমান দুই রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে মিলিত হতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ওইসব বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যুটিই যে প্রাধ্যণ্য পাবে তা বলাই বাহুল্য।

মার্কিন প্রশাসন জানায়, আগামী সোমবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের হাউজটনে আয়োজিত এক সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামীকাল রবিবার রাতে নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন ট্রাম্প। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ওইদিনই ওহায়ো যাবেন তিনি।

সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একই দিনে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, নিউজিল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তারপর একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। ওই দিনই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক রয়েছে তার। তাতে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, শক্তি চুক্তি-সহ নানা বিষয় আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৭৪তম সাধারণ সভা। সেখানে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং পাকিস্তান। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দানকারী সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর জাতিসংঘের ওই সভায় আবারও কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাক বিতণ্ডায় লিপ্ত হতে পারে বিবাদমান ওই দুই দেশ। এর আগেই দু’দেশের নেতাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকে ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন কূনীতিকরা।

বহু আগেই কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে মধ্যস্ততা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। তার এই প্রস্তাবকে ইমরান খান স্বাগত জানালেও সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে নয়াদিল্লি। এরপরও আরও একাধিকবার মধ্যস্থতা করার পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ অবস্থায় নিউইয়র্কে মোদি ও ইমরানের সঙ্গে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা কমাতে কতটা সাহায্য করবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.