সাভার প্রতিনিধি: গুরুতর অসুস্থ লোকসংগীতশিল্পী কাঙালিনী সুফিয়ার চিকিৎসায় অর্থসংকটে পড়েছে পরিবার।
গুরুতর অবস্থায় তাকে গত ৪ ডিসেম্বর সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোমেডিসিন বিভাগে ভর্তি করানো হয় শিল্পীকে।
বর্তমানে এ বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোমেনুজ্জামান খানের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল।
তবে সম্প্রতি একটি পরীক্ষায় তার হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় এখনই কাঙালিনীকে শংকামুক্ত বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক ডা মোমেনুজ্জামান খান বিটিসি নিউজকে বলেন, “তার ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছিল। তবে সেটা আমরা সামলে উঠতে পেরেছি। তিনি সম্পূর্ণভাবে সচেতন আছেন। বর্তমানে তাকে হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছে। তবে সর্বশেষ একটি রিপোর্টে কার্ডিয়াকে কিছুটা জটিলতা ধরা পড়ায় আমরা তাকে এখনও আশংকামুক্ত বলতে পারছি না।
“আরও একটি রিপোর্ট আজ রাতেই (শুক্রবার) হাতে আসার কথা রয়েছে। সেখানেও যদি কার্ডিয়াকের জটিলতাটা দেখতে পাই আমরা তাহলে তাকে সিসিউতে ট্রান্সফার করতে পারি।”
বিটিসি নিউজকে কাঙালিনী সুফিয়ার মেয়ে পুস্প বেগম বলেন, “খুব টেনশনে আছি। ডাক্তাররা তাকে সিসিউতে ভর্তি করাতে চাচ্ছে। ওখানে ভর্তি হওয়া মানেই টাকা। আমার কাছে নাই টাকা পয়সা। আমি কেবিন ভাড়া দিতে পারতেছি না। একটু আগে সুদে চার হাজার টাকা এনে ওষুধের বিল দিলাম। পত্র-পত্রিকায় খবর প্রচার হলেও কেউ তো আমাকে চার আনাও সাহায্য করতেছে না।
“ওষুধের বিল কীভাবে দেব সামনে, সেটা নিয়ে চিন্তা করতেছি। সিসিউতে ভর্তি করানোর কথা শুনলেও আমার মা ভয় পাচ্ছে। ওখানে তাকে একা থাকতে হবে বলে। আমি ডাক্তারদের বলেছি, কেবিনে রেখেই যেন চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু ডাক্তাররা বলেছেন, সেক্ষেত্রে রোগীর কিছু হলে তার দায় দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে।”
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য পান কাঙালিনী সুফিয়া। তবে বর্তমান সংকটের তুলনায় এ সাহায্য অত্যন্ত অপ্রতুল।
‘বুড়ি হইলাম তোর কারণে’, ‘কোন বা পথে নিতাই গঞ্জে যাই’, ‘আমার ভাঁটি গাঙের নাইয়া’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের শিল্পী কাঙালিনী সুফিয়া। মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকে গ্রামীন মঞ্চে গান গেয়ে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.