কলেরা ছড়াচ্ছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সিরিয়ায়, দুই জনের মৃত্যু

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। এখন পর্যন্ত কলেরায় দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৫৬৮ জন। আসাদ সরকারের বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করা জরুরি সহায়তা টিমের সদস্যরা এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার টুইটারে হোয়াইট হেলমেট বাহিনী জানায়, উত্তর-পশ্চিমে গত নভেম্বর থেকে কলেরায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত আরও ৫৬৮ জন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা জানান, ভূমিকম্পের কারণে ঐ অঞ্চলের অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে দ্রুত ছড়াচ্ছে কলেরা। স্বেচ্ছাসেবক নুর কোরমুশ বলেন, শরণার্থী ক্যাম্পের এলাকাগুলোতে দুর্যোগ আরও বেড়েছে। সেই সব জায়গায় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
ভূমিকম্পের আগেও এলাকাটি যথাযথ পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শরণার্থী শিবিরের ৬৩ শতাংশের সঠিক পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল না। তিনি আরও জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভূমিকম্পে আহতদের চিকিত্সা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন। ভূমিকম্পে বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ার পর হাজার হাজার বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
কোরমুশ স্থানীয় কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, ঐ অঞ্চলে প্রায় ২০ হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে বা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারা এখন যে পরিবেশে বসবাস করছে, তার অবস্থা এতটাই নাজুক, যে কোনো রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে কলেরা। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রতিবেদনেও বলা হয় ঐ অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির ‘তীব্র ঘাটতি’ দেখা দিয়েছে।
৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানে চলতি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ঐ ভূমিকম্পের পর আঘাত হানে আরো শতাধিক আফটারশক। দুই দফার ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তুরস্ক ও সিরিয়ায়। দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। (সূত্র: আল জাজিরা)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.