করোনায় অলিম্পিক আয়োজনে প্রস্তুত টোকিও

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: করোনা জর্জরিত টোকিওতে চলছে জরুরী অবস্থা। তবে এর মাঝেও জুলাইয়ে অলিম্পিক আয়োজনে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে জাপান প্রশাসন। সেখানকার সরকারের মতো সাধারণ মানুষও চায় আয়োজনটা করুক টোকিও। মূলত আর্থিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে এবং অ্যাথলিটদের কথা ভেবেই এ আগ্রহ তাদের।
করোনায় ভেস্তে গেছে সব। পুরো ক্রীড়া দুনিয়া ওলট-পালট করে দিয়েছে এ মহামারি ভাইরাস। সময় যত গেছে ততই শক্তিশালী হয়ে আঘাত করেছে কোভিড-নাইন্টিন। ভ্যাক্সিন নিয়ে আশার বেলুন ফুললেও এখন সেটাও চুপসানোর পথে।

এর মাঝেই অবশ্য নতুন করে বাঁচতে শিখেছে মানুষ। নিউ নরমালে আয়ত্ত করে নিয়েছে নতুন নতুন নিয়ম কানুন। কিন্তু তাতেও বাধ সেধেছে করোনা ভাইরাস। যাই যাই করেও যাচ্ছেনা একেবারে। দ্বিতীয় ওয়েভের নাম করে হামলে পড়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে।

এই করোনা থাবাতেই পিছিয়ে গেছে ফুটবলের বড় দুটি মহাদেশীয় আসর। একই পথে হাঁটতে হয়েছিল গ্রেটেস্ট শো অন আর্থকেও। টোকিওতে দিন দিন অবস্থা বেগতিক হয়ে যাওয়ায় এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয় অলিম্পিক। কিন্তু ২০২১ এ আয়োজন করা সম্ভব হবে কি না প্রশ্ন উঠেছে সেটা নিয়েও।

কারণটা করোনার সেকেন্ড ওয়েভের প্রকোপ বৃদ্ধি। টোকিওর অবস্থা আবারো খারাপে দিকে যাওয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে তাদের প্রশাসন। রেস্টুরেন্ট এবং বার বন্ধ করতে বলা হয়েছে রাত ৮টার মধ্যেই। ভিড়ের মাঝে যেতে নিষেধ করা হয়েছে নাগরিকদের।

এতো কিছুর পরও অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে কোনো নেতিবাচক ভাবনা নেই আয়োজক কমিটির। এখনো নিজেদের প্রস্তুতি নিয়েই ভাবছে তারা। শুধু টোকিওর কর্তারাই নয়, আয়োজনটা নিজেদের শহরে দেখতে চান এর নাগরিকরাও। মূলত করোনার সময়ে হয়ে যাওয়া আর্থিক ক্ষতি পোষানোটাই তাদের লক্ষ্য।

স্থানীয় একজন বলেন, আমাদের আঞ্চলিক অর্থনীতির অবস্থা ভালো না। করোনা আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। এখানকার দোকানদার, সাধারণ ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুব খারাপ। অলিম্পিক এখানে হলে অনেক মানুষ আসবে, তখন আমাদের মানুষরা কাজ পাবে। এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে। করোনাকে নিয়ে ভয় টা থাকছেই, তবে জীবন থামিয়ে রাখা সম্ভব না।

দেশটির এক নাগরিক বলেন, দেখুন বিষয়টা শুধু অর্থনৈতিক নয়। আমাদের অ্যাথলিটরা এতোদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে। এখন যদি অলিম্পিক না হয়, তাদেরকে আপনি কি বলবেন? শুধু তো আমাদের অ্যাথলিটরাই নয়, সারা দুনিয়াতেই সবাই এই আয়োজন নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের কথাও তো ভাবতে হবে।

তবে সবাই চাইলেই তো আর হবে না। এখানে যে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। জীবনের সঙ্গে তো আর আপোষ চলে না। তবে সব কিছু মানলেও অলিম্পিক আয়োজনে বদ্ধ পরিকর টোকিও। প্রয়োজনে দর্শক ছাড়া হবে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.