করোনার নতুন ঢেউ ও বুটেক্স প্রসাসনের উদাসীনতা

বুটেক্স (ঢাকা) প্রতিনিধি: রুটিন অনুযায়ী বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)-এর চলমান ব্যাচগুলোর টার্ম ফাইনাল শুরু হবে আগামী ১১ই জানুয়ারি থেকে। অথচ সমসাময়িক করোনার বিরূপ পরিস্থিতিতে নেই কোন পূর্বপরিকল্পনা।
আবাসন সংকট থাকায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) প্রায় প্রতিটি হলেই ধারণ ক্ষমতার বেশি শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এতে করোনা আতঙ্ক বাড়ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আজিজ হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বিটিসি নিউজকে বলেন “করোনার এই সময়ে যখন আমাদের নিজ নিজ আবাসস্থলে সেল্ফ কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করার কথা সেই সময় আমাদের অফলাইন পরীক্ষার জন্য হলে অবস্থান করতে হচ্ছে, যা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে”।
একই আতংক শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বিটিসি নিউজকে জানান, “আমার তো ঢাকায় অন্য কোথাও থেকে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব না। হলই ভরসা।”
তিনি আরও বলেন, “যদি করোনার ব্যাপারে প্রপার সার্ভিস আমাদের মত ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা পায় সে জন্য এখনই ব্যবস্থা না করলে আর হবে না। একে তো পরীক্ষার টেনশন, তার মাঝে আবার ঢাকায় এসে হল থেকে যদি কারো মাধ্যমে সংক্রমিত হই তখন কি করব এই আরেক টেনশন।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ তোউফিকা সিদ্দিকা বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘প্রয়োজনে ছাত্রীদের আইসোলেশনের জন্য ১টি কক্ষ বরাদ্দ আছে। তবে সেখানে সর্বোচ্চ ৪ জন অবস্থান করতে পারবেন’।
এছাড়া হলের কোন আবাসিক শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হলে তার জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট ড. আহমেদ জালাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোন ধরনের নির্দেশনা আসে নি’।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য হল প্রশাসন ক্যাম্পাস মেডিকেল সেন্টারের উপর ভরসা করে থাকলেও সেখানে নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। এদিকে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে বুটেক্সের পাশ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানগুলো।
জানা যায়, বুটেক্সের ওসমানী হলের পাশ্ববর্তী আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিভাগে আক্রান্ত হয়েছে ১৯ জন শিক্ষার্থী। যাদের রয়েছে ওসমানী হল এবং নজরুল হলের ক্যান্টিনে অবাধ যাতায়াত।
একই রকম চিত্র রয়েছে শহীদ আজিজ হলেও। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশরাই আজিজ হলের ক্যান্টিনে খায় বলে সেখানে সম্ভব হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। ফলশ্রুতিতে প্রতিটি শিক্ষার্থী এই ভয়ঙ্কর ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ভ্যাক্সিনের মেসেজ না আসায় তারা এখনো ভ্যাক্সিনের সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করতে পারেন নি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বুটেক্স (ঢাকা) প্রতিনিধি আবির সাদাত অন্তিম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.